রূপগঞ্জের পূর্বাচল ২নং সেক্টরের ৪নং ব্রিজের লেক থেকে বুধবার শাইনুর রশিদ কাব্যের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে মঙ্গলবার লেক থেকে তার বান্ধবী সুজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। সেমাবার পূর্বাচল উপ-শহরে বেড়াতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল লেকে পড়ে গেলে দুজনের মৃত্যু হয়।

সুজানা রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে কচুক্ষেত এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার মেয়ে। আর শাইনুর রশিদ কাব্য আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে কচুক্ষেতের বউবাজার এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।

‘গ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম দুই পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, সুজানা ও কাব্য ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হলেও একসঙ্গে কোচিং করার সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। সোমবার বিকালে সুজানা বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে কাব্যর সঙ্গে পূর্বাচলে মোটরসাইকেলে বেড়াতে আসে। পরে সুজানা ও কাব্য বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাদের বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে পূর্বাচলের ২নং সেক্টরের ৪নং ব্রিজের লেক থেকে সুজানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আর বুধবার সকালে একই স্থান থেকে মোটরসাইকেলসহ কাব্যের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পূর্বাচলের লেকে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

কাব্যের বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, ছেলে ঘুরতে বের হয়ে না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যামে সুজানার লাশ উদ্ধারের সংবাদ প্রচার হওয়ার পর জানতে পারি কাব্য সুজানার সঙ্গে পূর্বাচলে বেড়াতে গিয়েছিল। বুধবার সকালে একই জায়গা থেকে মোটরসাইকেলসহ কাব্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। এটিকে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে বাকিটা বলা যাবে। এ ঘটনার পেছনে অন্য রহস্য আছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানাই।