হজ নিবন্ধন শেষ, কোটার ৬০ হাজার খালি
নিবন্ধনের সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না। যারা করেছেন, তাদের নিয়ে হজের কার্যক্রম শুরু করা হবে
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![হজ নিবন্ধন শেষ, কোটার ৬০ হাজার খালি](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/12/16/Untitled-3-675c17b6b97e8-675f3aee88bdb.jpg)
ফাইল ছবি
২০২৫ সালের হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময় রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৬৬ হাজার ৭৭২ হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৭৬১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬২ হাজার ১১ জন। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেই হিসাবে এখনো খালি রয়েছে ৬০ হাজার ৪২৬ জনের। যা প্রায় অর্ধেক। যদিও এর সঙ্গে হজ গাইডের সংখ্যা যোগ হবে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। নিবন্ধনে টানা সাড়ে তিন মাস সময় পেয়েছেন হজে যেতে আগ্রহীরা। অথচ দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর হজের নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু যেসব হজযাত্রীর নিবন্ধনের অর্থ জমাদানের ভাউচার তৈরি করা হয়েছে ও যেসব ভাউচার ব্যাংকে জমাকরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেসব হজযাত্রীর নিবন্ধনের অর্থ ১৭ ডিসেম্বর জমা দিতে পারবেন। তবে নতুন করে কোনো হজযাত্রীর ভাউচার তৈরি করার সুযোগ থাকবে না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, হজের সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না। যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে। তাদের জন্য সৌদি আরবে বাসা ভাড়াসহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে কাজ শুরু হবে।
চলতি বছর ৩০ অক্টোবর সরকারিভাবে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘোষিত সাশ্রয়ী সাধারণ প্যাকেজ-১ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। অন্য প্যাকেজে (২) খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এ হিসাব খাবার ও কুরবানির খরচ ছাড়া। বেসরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য চার লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা (খাবার ও কুরবানির খরচ ছাড়া) নির্ধারণ করে দিয়েছে। সাধারণ হজ প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি একটি অতিরিক্ত বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। পরে ৬ নভেম্বর হাবের বাতিল হওয়া কমিটি ‘সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকবৃন্দ’ ব্যানারে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করে। খাবার খরচ যুক্ত করে সাধারণ হজ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার এবং বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৯৯ হাজার টাকা। পরদিন ৭ নভেম্বর ‘বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সি মালিকরা’ তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রথম প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ১৮ হাজার টাকা, দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার এবং বিশেষ হজ প্যাকেজ ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকা।