Logo
Logo
×

শেষ পাতা

৭৯ নাবিকসহ বাংলাদেশি দুই জাহাজ নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, কুয়াকাটা ও মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৭৯ নাবিকসহ বাংলাদেশি দুই জাহাজ নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ জেলে-নাবিকসহ দুটি মাছ ধরার জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২।

খুলনা অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় সোমবার এ ঘটনা ঘটে বলে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে জাহাজ দুটির মালিকপক্ষ। আটকের বিষয়টি মৌনভাবে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক ও মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সুয়াইব বিকাশ।

বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন অফিস সেক্রেটারি আবিদ হাসান বলেন, এফভি লায়লা-২ ফিশিং জাহাজটির মালিক সিদ্দিকুর রহমান। তাদের অপারেশন কোম্পানির নাম ‘এসআর ফিশিং’। এফভি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এমএ ওয়াহেদ, অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশি জলসীমায় প্রবেশ করে জাহাজ দুটি আটক করে নিয়ে গেছে।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আনসারুল হক বলেন, জাহাজের নাবিকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবশেষ খবর পেয়েছি, জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। জানা গেছে, এফভি মেঘনা-৫ এ নাবিকসহ ৩৭ জন ও এফভি লায়লা-২ এ জেলেসহ ৪২ জন ছিলেন। তবে কী কারণে ট্রলারগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি। নির্দিষ্ট কোনো অবস্থান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কারা কেন ধরে নিয়ে গেছে; সেসব বিষয়েরও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, জাহাজ দুটি সোয়াচ নো গ্রাউন্ডের পশ্চিম প্রান্তে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

নৌ-পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মাকসুদ আলম বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। খতিয়ে দেখে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখনও অবগত নই। অফিসে খবর নিয়ে জানাতে পারব।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে এ ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনো চিঠি বা অভিযোগ পাননি।

এফবি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এমএ ওয়াহেদ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। কি করা যায়। তবে এটি সত্য জাহাজ দুটি ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে জব্দ হয়েছে।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এক্স ক্যাডেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নূর উদ্দিন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম