প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আগের মতো কোটা নয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আগের মতো কোটা থাকবে না। ৯৩ শতাংশই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার সকালে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে থাকছে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি। তবে অন্যান্য বারের মতো এবার ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না। তিনি বলেন, যেহেতু বাইরের একটি দেশের বই ছাপার কথা ছিল ৫ আগস্টের পরে সেই টেন্ডার বাতিল করে নতুন টেন্ডার আহ্বানের ফলে বই ছাপাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এজন্য বই বিতরণে কিছুটা দেরি হলেও প্রাথমিকের বই জানুয়ারির মধ্যেই বিতরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন।
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে-মিল এর আওতায় আসবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৫০টি উপজেলার সব বিদ্যালয়ে এটি চালু হবে। দক্ষিণ এশিয়াতে শুধু বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু ইউনেস্কোর মতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাজেটের ছয় শতাংশ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবি। প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যই হলো শিশুদের সাক্ষর করে গড়ে তোলা বা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন করে তোলা। একইসঙ্গে তাকে ভাষাজ্ঞানে ও গণিতে দক্ষ করা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যেসব বিদ্যালয়গুলোয় খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো কোটা না রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সাধারণভাবে অন্য চাকরিতে যেমন ৭ শতাংশ কোটা রয়েছে, এখানেও তেমনটি থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ করে তুলতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট নিয়োগের ২০ শতাংশ গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে পাশ করাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ, বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা অংশ নেন।