বাহুবলে ৫ টাকার ভাড়া নিয়ে ৪ ঘণ্টা সংঘর্ষ
আহত অর্ধশত, ২০ দোকান ও দুটি ট্রাকে আগুন
হবিগঞ্জ ও বাহুবল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
হবিগঞ্জের বাহুবলে টমটম ভাড়া ৫ টাকা বেশি চাওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ সময় ২০টি দোকান, মাছের আড়ত ও দুটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌচাকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় মৌচাকে ভেড়াখাল গ্রামের আজমান মিয়ার ছেলে অটোচালক সালমান এবং সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর নুর মিয়ার ছেলে সাজিদ তালুকদারের মধ্যে ভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। অটোচালক ভাড়া ১৫ টাকা দাবি করেন। যাত্রী দেন ১০ টাকা। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর অটোচালক তার কিছু নিকটাত্মীয়কে নিয়ে সাজিদ তালুকদারকে মারধর করেন। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে-ভেড়াখাল গ্রামের ‘মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের’ ওপর হামলা হয়েছে। এরপর ভেড়াখাল, কবিরপুর, মুদাহরপুর, নোয়াঐসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন মৌচাক এলাকায় এলে সাতপাড়িয়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টানা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকা। বাহুবল মডেল থানা পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থতিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত জনতা মৌচাক এলাকায় প্রায় ২০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দেয়। মাছের আড়তে থাকা দুটি ট্রাকেও আগুন দেওয়া হয়। আহতদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাহুবল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ জগদীস চন্দ্র দেব নাথ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাহুবল মডেল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।