Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বাংলার আকাশ শত্রুমুক্ত

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলার আকাশ শত্রুমুক্ত

১৯৭১ সালে পুরো ৯ মাসের যুদ্ধে ডিসেম্বর মাসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বীর বাঙালির সম্মুখযুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে থাকে পাক হানাদার বাহিনীর। বিজয়ের প্রায় দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয় মুক্তিসেনারা। কামান-গোলাসহ মারণাস্ত্রের সামনে যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে চূড়ান্তভাবে সম্মুখযুদ্ধ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে আসতে থাকেন। পাকিস্তানের বিমানবাহিনীও চূড়ান্তভাবে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। পাকিস্তান পরাজয়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে নতুন কূটকৌশলে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু করে।

কিন্তু তারা সম্মুখসমরের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও হারতে থাকে।

১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর ছিল রোববার। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের খবর আসছে। সর্বাত্মক লড়াইয়ে এদিন শত্রুমুক্ত হয় বাংলার আকাশ। মিত্রশক্তির বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখল করে নেয়। এদিনের পর ঢাকার আকাশে আর কোনো জঙ্গি বিমান উড়েনি।

জামালপুর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, ঝিনাইদহ, সান্তাহার, ময়মনসিংহ ইয়ার্ড মিত্রবাহিনীর আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায়। ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করে নেয় মিত্রবাহিনী। বাংলার উন্মুক্ত আকাশে মিত্র বাহিনীর বিমান অবাধে বিচরণ করে। জামালপুরে বিমান হামলায় কয়েকশ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের চারদিক থেকে বিজয় দেখে এগিয়ে যায়। মিত্রবাহিনীর বিজয় দেখে জেনারেল নিয়াজি পাকবাহিনীকে পেছনের দিকে সরে আসার নির্দেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।

১৯৭১ সালের এই দিনে নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ডার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে সব বিদেশি জাহাজগুলোকে বন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিদেশি জাহাজগুলো এই সময় নিরাপত্তা চাইলে যৌথ কমান্ডার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পৃথিবীর সব দেশ তখন বুঝতে পারে যে শিগগিরই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটতে যাচ্ছে। এই দিন লেফটন্যান্ট আরেফিনের নেতৃত্বে চালনা নৌবন্দরে এক তীব্র আক্রমণ সংঘটিত হয়। মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণের ফলে পাক বাহিনীর সব সৈন্য বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম