Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব সেমিনার

জনআকাঙ্ক্ষার বাইরে কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না: আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জনআকাঙ্ক্ষার বাইরে কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না: আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীতে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাইরে কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না। শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্র্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজাজ্জের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার পতনের পর দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এই আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সংস্কার কি এবং কার জন্য? এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মনে রাখতে হবে-সংস্কারের সুবিধাভোগী দেশের জনগণ। তাই রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাই? জনগণকে কেমন বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই? মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সব অধিকার নিশ্চিত করতে পারছি কিনা? সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছি না? সংস্কারে এগুলো কিন্তু দেখতে হবে। কারণ গত ১৫ বছরে একটা ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট হয়েছে। দেশের মানুষ আর সেই পথে যেতে চায় না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনে যদি দেশের জনগণ বিএনপির পক্ষে রায় দেয়, তাহলে বিএনপি একক ভাবে সরকার গঠন করবে না। বিএনপি একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে। এই বিষয়ে প্রায় ৫০টি দলের সঙ্গে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

রাষ্ট্র মেরামত না করে গেলে এই জেনারেশন কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছর পর একটা আন্দোলনের মাধ্যমে আজ আমরা একটা জায়গায় এসেছি। আজ আমরা যদি রাষ্ট্র মেরামত না করে চলে যাই তাহলে এই জেনারেশন আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। তারা বলবে আমরা কিছুই করিনি।

তিনি বলেন, আজ অনেকে বলেন এত সংস্কারের কি দরকার। আপনারা নির্বাচন দিয়ে চলে যান। সত্যি বলতে আপনারা যদি সারা বাংলাদেশ ঘুরে দেখেন, তাহলে দেখবেন প্রতিটি দেওয়ালে রাষ্ট্র মেরামতের গল্প আছে। রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প আছে। তাই আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করে যেতে চাই। প্রয়োজনে জেলে পচব। তাও সংস্কার করব।

শফিকুল আলম বলেন, ৬টা কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন জমা দেবে। ওই প্রতিবেদন নিয়ে আমরা সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমেই রাষ্ট্র মেরামত করব।

এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রথম ধাপে এনডিএমের দেওয়া ৯টি সংস্কার খুবই জরুরি। এনডিএমের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কখনো ফ্যাসিজম হবে না। মানুষের ভোটাধিকার দেশের জমিনে ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বেশি জরুরি।

এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে দিনের ভোট রাতে হতো। তারা লাইট বন্ধ করে ব্যালট পেপারে সিল মারত। ওই ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ে আমরা ডামি নির্বাচন দেখেছি। এরশাদের আমলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হতো। কেন্দ্র দখল হতো। যে ধরনের সংস্কার এবং আইন করলে ব্যালট পেপারে সিল মারা, ডামি নির্বাচন, কেন্দ্র দখল ও রাতের ভোট বন্ধ হবে, সে বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম