যুগ্ম সচিবের অপসারণসহ ৯ দাবি
মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা কর্মচারীদের
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা কর্মচারীদের](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/11/29/secre-py-6748fa643ed7e.jpg)
এক যুগ্ম সচিবের অপসারণসহ ৯ দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে সচিবালয়ের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ভেতরে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’র ব্যানারে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। ‘দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহার’র অভিযোগে অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব নাদিরা সুলতানার অপসারণের দাবি জানান তিনি।
বুধবার সকালে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বাদিউল বলেন, দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, যুগ্ম সচিব নাদিরা সুলতানা আমাদের দুজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এরূপ অসদাচরণের জন্য এবং সচিবালয়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র হিসাবে গণ্য করে বিশৃঙ্খলার দায়ে নাদিরা সুলতানাকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। বদিউল কবীর বলেন, নন-ক্যাডার পদ থেকে উচ্চ পদে (সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্মসচিব) পদোন্নতির জন্য পদ সংরক্ষণের দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন। সেই প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে।
উক্ত কমিটির সর্বশেষ সভার কার্যবিবরণীতে অর্থ বিভাগের সদস্য ছাড়া বাকি ১০ জন সদস্য স্বাক্ষর করেন। কিন্তু অর্থ বিভাগের সদস্য (নাদিরা সুলাতানা) উক্ত কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর না করে সময়ক্ষেপণ করেন। আমরা অতি দ্রুত এর সমাধান চাই। অভিযোগের বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও নাদিরা সুলতানার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সচিবালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন বদিউল কবীর। দাবিগুলো হলো-পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরিতে ‘অন্যায়ভাবে আরোপিত’ সব আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির মতো ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা দিতে হবে। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের আগে সব স্তরের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। আগের মতো ১০০ শতাংশ পেনশন গ্র্যাচুইটির নিয়ম চালু করা, সব স্তরের কর্মচারীদের জন্য আগের মতো টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মতো সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো রেশন চালু করা। চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে ৩ বছর বাড়িয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ। সচিবালয় কর্মচারীদের তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান। পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি করা।
সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীরের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম।