নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নিরীহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাহফুজ আলম লেখেন, গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শান্ত থাকুন। নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সরকার দ্রুতই রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
একই দিন দেশের জনগণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, আমাদের বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে দেব না। আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। নিজেরা আইন হাতে তুলে নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকেই একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য ক্রমাগত চক্রান্ত করে যাচ্ছে। দয়া করে নিজেরা নিজেরা কোন্দলে জড়িয়ে কুচক্রী এই মহলের হীনষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথ তৈরি করে দিয়েন না।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আইনজীবী সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকলে সে সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে নিজের ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম লিখেন, ধর্মকে ‘টুল’ (হাতিয়ার) হিসেবে ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী সংগঠন যদি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে-তবে সেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যিনিই জড়িত থাকুক না কেন, খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ষড়যন্ত্রকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়। বেশি ছাড় পেলে মাথায় উঠে নাচবে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ (৩৫) নিহত হন। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।