দীর্ঘদিনের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে হলে বাজারের দীর্ঘদিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসররা বাজারে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে। দীর্ঘদিনের এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। শুক্রবার কুমিল্লার দেবিদ্বার নিউমার্কেট এলাকার কাঁচা বাজার পরিদর্শনে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা অনেক রক্ত ও লাশের বিনিময়ে একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এ বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও বাজার সিন্ডিকেটদের ঠাঁই হবে না। আমরা তাদের কঠোর হাতে দমন করব। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। শুধু চাঁদাবাজদের মুখ বদল হয়েছে।
প্রকাশ্যে না হলেও তারা নীরবে চাঁদা তুলছে। দিনরাত বিভিন্ন স্থানে এসব চাঁদাবাজি হয়। আমাদের কাছে এসব খবর আসছে। যারা বাজারে চাঁদাবাজি করবে তাদের ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুলিশের হাতে তুলে দিন। চাঁদাবাজি এই মাটিতে করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সিন্ডিকেটের কবলে পড়বেন না, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচামাল ক্রয় করে ভোক্তাদের হাতে ন্যায্যমূল্যে তুলে দেবেন। অতিরিক্ত মুনাফা করা থেকে বিরত থাকুন। দ্রব্যমূল্য মানুষের সহনীয় পর্যায়ে রাখুন। সারা দেশে সংস্কারের কাজ চলছে, একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
পরে তিনি ৪ আগস্ট শহিদ আবদুর রাজ্জাক রুবেল, শহিদ সাব্বির হোসেনসহ আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবার-পরিজনের খোঁজখবর নেন। এ সময় দেবিদ্বার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় দেবিদ্বার পৌর ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৈঠক শেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বর সমিতির নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার সেন্ট্রাল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল আলীম, দেবিদ্বার মা মনি হসপিটালের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, দেবিদ্বার মর্ডান হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তমিজ উদ্দিন, সিদ্দিক বেকারীর স্বত্বাধিকারী মো. সিদ্দিকুর রহমান, দেবিদ্বার প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভিপি ময়নাল হোসেন, মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।