Logo
Logo
×

শেষ পাতা

আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন আন্দোলনে আহতরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন আন্দোলনে আহতরা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা সরকারি সব হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা আজীবন বিনামূল্যে পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।

তিনি বলেছেন, আহতদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফার্স্ট ট্র্যাক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। দেশের সব হাসপাতালে এই নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লক মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হাসপাতাল হিসাবে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে শহিদ, আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, আহতদের যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন, তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিএসএসএমইউর কেবিন ব্লকে যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে।

আহতদের আউট পেশেন্ট সার্ভিসের জন্য বিএসএমএমইউর স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিচের তলাটি সম্পূর্ণ ডেডিকেটেড করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেখানে ফিজিওথেরাপি সেবা যুক্ত করা হবে। এছাড়া সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে রোবোটিক্স ফিজিওথেরাপির জন্য। দেশের সব হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।

সায়েদুর রহমান আরও বলেন, আহতদের জন্য বিভাগীয় হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে ডেডিকেটেড শয্যা থাকবে। আহতরা ড্যাশবোর্ডে সহজেই দেখতে পারবেন কোথায় কোন সেবাটা পাওয়া যাবে। যারা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হচ্ছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে আহতদের পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান। দ্রুততার সঙ্গে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশের কাজ চলছে। আমরা চাই তালিকা নিয়ে ২০ বছর পরে প্রশ্ন না ওঠে। সেজন্য সময় নিয়ে হলেও সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ভেরিফিকেশন করছি। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শহিদ এবং আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আমাদের।

ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আন্দোলনে আহতদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন। সেই টাকা ফেরত দিতে ফাউন্ডেশন থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার যত টাকা খরচ হয়েছে ডকুমেন্টসসহ আমাদের সেলে জমা দিলে আহতদের টাকা ফেরত দেব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম