ঈশ্বরদীতে কুপিয়ে গুলি করে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঈশ্বরদীতে ওয়ালিফ হোসেন মানিক (৩৪) নামের এক যুবলীগকর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে উপজেলার রূপপুর পাকার মোড়ে ইউসুফ পাটোয়ারীর গলিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক ওই এলাকার মো. ইউনুচ সরদারের ছেলে। সে পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী সৌরভ হাসান টুনটুনির (হাতকাটা টুনটুনির) ভাই তানভির হাসান মনা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন মানিক। হাতকাটার মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মানিক ৭-৮ দিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে রোববার রাতে নিজ বাড়ি রূপপুরে আসেন। সোমবার সকালে বাড়ির পেছনে তাকে গুলি করে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই মানিককে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাতে পদ্মা নদীর বালু ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগকর্মী তানভির হাসান মনাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ওই রাতে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা হয়। নিহতের মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার বাদী তখন জানান, পদ্মা থেকে বালু ও মাটিকাটাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীসহ পাকশীর কিছু লোক মনার ভাই সৌরভকে খুন করার চেষ্টা করে। কিন্তু সৌরভ বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় তারা মনাকে হত্যা করে।
তৎকালীন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাসুদ আলম জানিয়েছিলেন, নিহত মনার বড় ভাই সৌরভ হাসান টুনটুনির হাত কেটে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল আলম পিন্টু খুন হন। সেই মামলায় নিহত মনাসহ তার ভাইয়েরা আসামি হয়েছিল। পিন্টু হত্যার জের এবং পদ্মা থেকে বালু ও মাটিকাটা নিয়ে লিটন গ্রুপের সঙ্গে মনার পক্ষের শাহিন গ্রুপের রেষারেষিসহ তীব্র কোন্দল চলে আসছিল।
ধারণা করা হচ্ছে এসব কারণেই মানিককে হত্যা করা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে মানিক বাড়িতে এসেছিলেন।
এ ব্যাপারে পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা সাজিউল আজম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।