ফেসবুকে পোস্ট
২৫ বছর পর জাহানারার খোঁজ মিলল পাকুন্দিয়ায়
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ১৯৯৯ সালে ৩ বছরের শিশুসহ হারিয়ে গিয়েছিলেন বরগুনার ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়জীর স্ত্রী জাহানারা বেগম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে প্রায় ২৫ বছর পর হারিয়ে যাওয়া পাঁচ সন্তানের জননী জাহানারা বেগমের খোঁজ পেয়েছেন তার স্বজনরা। শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার জাঙ্গালিয়া বাজার থেকে তাকে নিয়ে যান তার ছোট মেয়ে হাসি আক্তার ও বোন জামাই মোস্তফা মির্জা। জাহানারা বরগুনা সদর উপজেলার ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী। পরিবারের লোকজন জাহানারার হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ১০ বছর আগে খুঁজে পেলেও তার সন্ধান মিলছিল না।
মোস্তফা মির্জা বলেন, ১৯৯৯ সালে জাহানারা বেগম তার তিন বছরের ছোট ছেলে (বর্তমান বয়স ২৮) ছায়দুল মির্জাকে নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় রওনা হন। ভোরে সদরঘাটে লঞ্চ থেকে নেমে ছোট ছেলেকে রেখে টয়লেটে যান তিনি। সেখান থেকে বের হয়ে আর ছেলেকে পাননি।
এদিকে, কিছু দিন ধরে পাকুন্দিয়ার জাঙ্গালিয়া বাজারে জাহানারা বেগমকে অস্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এ সময় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম রিপন তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। জাহানারাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সচিত্র পোস্ট দেন তিনি। এক পর্যায়ে ফেসবুকের কল্যাণে স্বজনরা তার সন্ধান পান। দীর্ঘদিন পর মা-কে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছোট মেয়ে হাসি বেগম। তিনি বলেন, মাকে খোঁজে পেয়ে যেন আমার পৃথিবী খুঁজে পেয়েছি। ধরেই নিয়েছিলাম মায়ের মুখটি আর কখনো দেখতে পারব না।
জাঙ্গালিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম রিপন বলেন, এত বছর পর জাহানারা বেগমকে তার পরিবার খুঁজে পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।
শুক্রবার সকাল ১১টায় জাহানারা বেগমকে এক আনন্দঘন পরিবেশে তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুখ, সাবেক চেয়ারম্যান তৌফিকুল ইসলাম, শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।