আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা
জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মো. তৌফিক হাসান। এছাড়া স্টাফ মেম্বার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানের চাকরি ডিসমিসের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে আইন, বিচার ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের জেনেভা সফরের সময়ে বিমানবন্দরে অপ্রীতিকর ঘটনার পরে বাংলাদেশের সব মিশনকে প্রটোকল ও নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তৌফিক হাসান বলেন, জেনেভাতে যা ঘটেছে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত। এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। আমাদের মিশনের একজন অফিসার এবং স্টাফ মেম্বার-তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব মিশনকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে, ভবিষ্যতে প্রটোকল বা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা যেন গ্রহণ করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক হাসান বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত বা বিভিন্ন কূটনীতিক, যারা রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন-তাদের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। ২০-২৫ বছর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পরে একজনকে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং যোগ্য না হলে সরকার রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দেয় না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতদের বিষয়ে এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা যারা করছেন তারা ভালো কাজ করছেন না। এটি আসলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিদেশে তুলে ধরছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংস্কারের বিষয়ে তিনি জানান, যিনি অবসরে যাচ্ছেন বা অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক, তিনিই কিন্তু রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন-তাদের মেয়াদ আর বর্ধিত করা হচ্ছে না। ডিসেম্বরে সাত থেকে আটজন কূটনীতিক অবসরে যাচ্ছেন এবং তাদের কারও মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না। এর ফলে নতুন প্রজন্মের কূটনীতিকরা উৎসাহিত বোধ করছেন। কারণ মেয়াদ বাড়ানো হলে, নতুন প্রজন্মের কূটনীতিকদের রাষ্ট্রদূত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।