আমন সংগ্রহ শুরু রোববার
সিন্ডিকেট করলেই কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্য উপদেষ্টা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
খাদ্য উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ধান-চাল ক্রয়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি ক্রয় অভিযানে যেসব মিল মালিক চুক্তি মোতাবেক সরকারকে চাল দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধানে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে আমন সংগ্রহ উদ্বোধনসংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আগামী রোববার থেকে আমন ধান সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। সরকার সব সময় অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করবে। তবে ধান ও চাল পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও ধান চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন কম উৎপাদন হয়। গমের বার্ষিক চাহিদা ৭০ লাখ মেট্রিক টন, আর উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সরকারি মজুতের পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন। আরও এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে। চাল আমদানির ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। চলতি বছর প্রতি কেজি ধানের দাম ৩৩ টাকা, সিদ্ধ চালের দাম ৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার কৃষকদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ধান ও চালের মূল্য নির্ধারণ করেছে। আমন চাল পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, ধান তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং আতপ চাল ১ লাখ মেট্রিক টন।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে আমরা চাপে আছি। তবে গত এক সপ্তাহ চালের দাম কিছুটা কমেছে। আমন ধানের চাল বাজারে এলে আরও কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, চাল ছাড়াও অন্যান্য সবজিও বন্যায় বিনষ্ট হয়েছে। উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদার তুলনায় জোগান কম। যে কারণে পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। আশা করি শিগগিরই এ অবস্থা কেটে যাবে।