বুড়িগঙ্গার দখল ও দূষণ
ঢাকায় বৃত্তাকার নৌপথসহ ৭ দফা দাবি
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বুড়িগঙ্গাসহ অন্যান্য নদী রক্ষায় ঢাকায় বৃত্তাকার নৌপথ চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন। শুক্রবার ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর পার সোয়ারীঘাটে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন।
তাদের দাবিগুলো হলো-উচ্ছেদ ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে নদীর জায়গা পুনরুদ্ধার, নির্মোহভাবে সম্পূর্ণ দখলমুক্ত ও পুনঃখনন করে পুরোনো বুড়িগঙ্গার নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, প্রতিটি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খাল, প্লাবন অঞ্চল ও কৃষি জমি পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে পুনর্গঠন করে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সব নদী-বিল-হাওড় ও জলাশয়ের দখলদারদের তালিকা পূর্ণাঙ্গ করা, নদীর সীমানা নির্ধারণের ভিত্তি হিসাবে মূল ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) এবং ভরা মৌসুমে নদী প্রবাহের ধারা ব্যবহার করা এবং নদী, খাল ও জলাশয় দূষণকারীদের ওপর উপযুক্ত জরিমানা আরোপ করা।
‘বুড়িগঙ্গা নদীর দখলদূষণ রোধে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ : রাজধানীর চতুর্দিকে বৃত্তাকার নৌপথ চালু’ শীর্ষক ওই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস। এ সময় বক্তব্য দেন বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন ও ড. মাহাবুব হোসেন, জাতীয় পরিষদ সদস্য আশরাফ আমিরুল্লাহ ও হাজী শেখ আনছার আলী, জীবন সদস্য মো. আবদুল হামিদ, সিডিপির কর্মকর্তা এডওয়ার্ড এ মধু, বুড়িগঙ্গা পারের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল, সমাজকর্মী মো. সেলিম, কেমেলিয়া চৌধুরী, মো. রাসেল প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আলমগীর কবির বলেন, ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহর গড়ে উঠেছে। বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকার মানুষ বাঁচবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে। দেশের সব নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। ঢাকার চারদিকে চক্রাকার নৌপথ চালু করলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সব নদী রক্ষা করতে হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহাবুব বলেন, আগে বুড়িগঙ্গার পানি শরীরে লাগলে ময়লা পরিষ্কার হতো। এখন বুড়িগঙ্গার পানি শরীরে লাগলে নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হয়। এটাকে এখন ময়লার ভাগাড় বলা হয়। এই নদী রক্ষায় সরকারসহ সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।