ড. ইউনূসের সঙ্গে শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ
বাসস
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাই বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে তাদের বাব-মার ‘সালাম’ এবং শুভকামনা পৌঁছে দেন।
তারা জানান, গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস যখন তার ঐতিহাসিক ভাষণে আবু সাঈদ ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অন্য শহিদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন তখন শহিদ আবু সাঈদের বাবা-মাসহ তারা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী অধ্যাপক ইউনূসকে বলেন, ‘আপনি প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার একদিন পর রংপুরে আমাদের গ্রামে গিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং আপনি জাতিসংঘে আবু সাঈদসহ বিপ্লবের শহিদদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন এজন্য আমরা অত্যন্ত সম্মানিতবোধ করেছি।
প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড স্যালুট দেয়। এ সময় দুই ভাই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন। শহিদ আবু সাঈদের অপর ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন আমরা মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সৈন্যরা আমাদের স্যালুট দিয়ে সম্মান জানায় তখন আমাদের কেমন লেগেছিল তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারা আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে বলেন, তারা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। দুই ভাই তাদের শহিদ ভাইয়ের নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করবেন উল্লেখ করে বলেন, তারা তাদের শহিদ ভাইয়ের স্মরণে তাদের গ্রামে একটি ‘মডেল মসজিদ’ এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে চান এবং তারা এ বিষয়ে সহায়তার জন্য দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছেন। অধ্যাপক ইউনূস আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে তার হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে বুক পেতে দিয়ে শহিদ হন।