বিএনপির সভায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের দাওয়াত, হাতাহাতি
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী ৭ নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের প্রস্তুতিমূলক সভায় আওয়ামী লীগ ও নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের উপস্থিত দেখে প্রতিবাদ করায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলা সদরের খন্দকার টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা। এ সময় ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ মিয়া ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরে বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
‘রাজনৈতিক আমলনামা’ নামে ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে তুলে ধরা ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলোচনা সভা ডেকেছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ও নিক্সন চৌধুরীর সৈনিকরা। এরই প্রেক্ষাপটে বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ মিয়া প্রশ্ন করেন-‘এরা কারা? এরাই ১৪ থেকে ১৫ বছর জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিএনপির লোকজনকে ডিস্ট্রাব করেছে। আজ কেন এরা মিটিংয়ে এসেছে? কারা এদের দাওয়াত দিয়েছে?’ এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে সেলিম খন্দকারের আস্থাভাজন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়া বলেন, ‘আমি দাওয়াত দিয়েছি আপনার কী? প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে বের হয়ে যান।’ তখন বিএনপি নেতা সিরাজ বলেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী দলে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ বা নিক্সন চৌধুরীর রাজনীতি আমরা করি না, তাহলে কেন বিএনপির মিটিংয়ে এরা উপস্থিত থাকবে?’ এক পর্যায়ে আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজ রেগে বলেন, ‘তাহলে আমি চলে গেলাম, যেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আপনারা মিটিং করবেন সেখানে আমি থাকতে পারি না।’ তখন সেলিম খন্দকারের লোকজন সিরাজ মিয়াকে ধাক্কা দেয়। তখন সিরাজ পড়ে গিয়ে আহত হন। সিরাজকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফজলের সোবহান শামীম বলেন, নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, সেটি মীমাংসা হয়েছে। আর সিরাজ আমাদের লোক, তিনি হার্টের সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান পান্না বলেন, যাদের দ্বারা বিএনপি নির্যাতিত তাদের দাওয়াত দেওয়া অবশ্যই খারাপ কাজ, আমি এর নিন্দা জানাই। বিএনপির আজিমনগর ইউনিয়নের সভাপতি প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে আহত হন।