কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রদলের মিটিংয়ে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর
কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রদলের মিটিংয়ে না যাওয়ায় এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭তম আবর্তনের মোহাম্মদ কাউসার। তিনি জানান, একই আবর্তনে অধ্যয়নরত ছাত্রদল কর্মী তৌহিদুল ইসলাম তাকে মারধর করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় শহিদ ধীরেন্দ নাথ দত্ত হলের ১০০৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। বিচার চেয়ে হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কাউসার।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে মতবিনিময় করার জন্য হলের ৪০০৪ নম্বর কক্ষে মিটিং ডাকেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনুসারী ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ছাত্রদল কর্মী মাজাহারুল ইসলাম আবির ও মাহাদুজ্জামান ইপেল। এছাড়াও ওই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী জুনায়েদ লামিম ও মেহেদী হাসান শাহিন।
জুনিয়রদের মিটিংয়ে ডাকার দায়িত্ব পান ১৭তম আবর্তনের অর্থনীতি বিভাগের তোফায়েল মাহমুদ নিবিড় ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম। তৌহিদ ১০০৪ নম্বর রুমে এসে কাউসারকে মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য জোর করেন। কাউসার যেতে না চাইলে তৌহিদ কাঠের তক্তা দিয়ে তাকে মারধর করেন। এ সময় আরেক ছাত্রদল কর্মী নিবিড় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কাউসার বলেন, তখন রাত ১১টা বাজে। আমি রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। ছাত্রদল কর্মী তৌহিদ এসে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। বলে, তোকে ডাকছে, উপরে যেতে হবে। আমি যেতে অস্বীকৃতি জানাই। কিন্তু সে আমাকে জোর করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার মশারি টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং গালিগালাজ শুরু করে। তখন আমি ধাক্কা দিয়ে তাকে চলে যেতে বলি। কিছুক্ষণ পর সে কাঠের তক্তা নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ১৭তম আবর্তনের সবাই মিলে বসব, কথাবার্তা বলব। এজন্য তাকে ডাকতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি তার মশারি উঠালে সে আমাকে ধাক্কা দেয়। এজন্য তাকে তিন-চারটি বাড়ি দিয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের কোনো মতবিনিময় সভা ছিল না। যারা মারামারি করেছে তারা কেউ আমার অনুসারী নয়। শহিদ ধীরেন্দ নাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিন জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তাদের ডাকা হয়েছে। সবার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।