আইনজীবীর সঙ্গে বিতণ্ডা
চট্টগ্রামে এজলাস থেকে নেমে গেলেন হাকিমরা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
একটি মামলার আবেদনের শুনানি চলাকালে বাদীপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারকরা এজলাস থেকে নেমে কর্মবিরতি পালন করেন। এ নিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এ সময় বিএনপি-জামায়াতপন্থি’ একদল আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে।
আদালতসংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগর হাকিম মো. অলি উল্লাহর আদালতে একটি মামলার আবেদনের ওপর শুনানি চলছিল। মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য নিয়োগ পাওয়া জেলা পিপি মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক। তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর প্রথমে মহানগর হাকিম মো. অলি উল্লাহ ও পরে অন্য মহানগর হাকিমরা সবাই এজলাস ছেড়ে নেমে যান। পরে মুখ্য মহানগর হাকিমের সঙ্গে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে একজন ছাড়া সবাই দুপুর আড়াইটার দিকে ফের এজলাসে বসেন বলে জানা গেছে। আইনজীবী আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক যুগান্তরকে বলেন, ১৭ জুলাই মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শোয়াইবুল ইসলাম নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন। তার পক্ষে মামলার আবেদন নিয়ে আমরা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ মো. অলি উল্লাহর আদালতে যাই। আমরা চেয়েছিলাম মামলাটি আমলে নিয়ে যেন থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাদী ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করার আবেদন জানান। বিচারক বাদীকে আসামিদের নাম বলতে বললে তিনি প্রায় ২০ জনের নাম বলেন। কিন্তু বিচারক সবার নাম জানতে চান।
আইনজীবী রাজ্জাক বলেন, আমি তখন আদালতকে বলি, ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে। সব নাম তো আসামি বলতে পারবে না। শুনানি শেষে আদালত মামলার আবেদনটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দেন। আদেশ পেয়ে আমরা মেনে নিই। কিন্তু একপর্যায়ে বিচারক আমাকে বলেন, আমার আদালতে মামলা নিয়ে কোনো রিঅ্যাক্ট দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এই বলে তিনি এজলাস থেকে নেমে যান। শুনেছি পরে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অন্য বিচারকরাও এজলাস থেকে নেমে যান। তবে তারা কর্মবিরতি পালন করেছেন নাকি দুপুরের বিরতি দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক ছাড়া অন্যরা এজলাসে বসেছেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ওই হাকিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। আমরা মহানগর দায়রা জজের সঙ্গে বেলা ৩টার দিকে সাক্ষাৎ করে তাকে পুরো বিষয়টি অবহিত করেছি।