Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সাবেক মন্ত্রীসহ ৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাবেক মন্ত্রীসহ ৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন-সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম, সাবেক সংসদ-সদস্য ইকবালুর রহিম ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মুক্তি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।

রোববার দুদকের পাঁচটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, রোববার দুদকের পক্ষ থেকে সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পাঁচটি আবেদন করা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে আদেশ দেন।

সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী। আবেদনে বলা হয়েছে, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, করোনাকালে ভুয়া প্রশিক্ষণ বিল উত্তোলন, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

সাবেক এমপি ইকবালুর ও তার স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মুক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান। আবেদনে বলা হয়েছে, ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

লিয়াকত আলী লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। আবেদনে বলা হয়েছে, লাকীর বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

রফিকুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন দুদকের উপপরিচালক নূর-ই-আলম। এতে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম ও অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

নুরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, নুরুল ইসলাম একাধিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে অবৈধভাবে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সাত হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তাই তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম