ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা
আটক করে পুলিশে সোপর্দ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে পড়লেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা শিক্ষার্থীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন। তোপের মুখে পড়া ওই ছাত্রলীগ নেতা বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আলীম। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেন আলীম। তার ক্যাম্পাসে আসার খোঁজ পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের চড়-থাপ্পড়ের শিকার হন তিনি।
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আলীম হলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের জোর করে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যেত। হলের বেশিরভাগ কক্ষই তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। জিয়া হলে এমন কোনো রুম নেই, যে রুমে আলীমের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল আলীম বলেন, ‘ভেবেছিলাম দেরিতে এসে পরীক্ষায় এটেন্ড করে পাশমার্ক তুলে আগে আগে বের হয়ে যাব। কিন্তু বুঝতে পারিনি বিষয়টা এতদূর গড়াবে।’ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসবের সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই।’
বিভাগের শিক্ষকরা জানান, আমরা জানতামই না এমন কেউ পরীক্ষা দিতে এসেছে। পরীক্ষা চলাকালে বাইরে হট্টগোল দেখে সেখানে গিয়ে তার কথা জানতে পারি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, শিক্ষকদের সমন্বয়ে আমরা তাকে প্রটেকশন দিয়ে সেখানে থেকে নিয়ে এসে থানায় সোপর্দ করি। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা এইসব দোসরদের প্রশ্রয় দেবে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।
ইবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মব জাস্টিস থেকে তাকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।