নতুন মামলায় সালমান গাজী মামুন ও জিয়াউল গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর খিলগাঁও পল্লীমা স্কুলের সামনে পরিবহণ শ্রমিক সোহেলকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত তাদের গ্রেফতার দেখান।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ ও গুমের মামলায় বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিন তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক আতিকুজ্জামান সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানার আদেশ দেন। এছাড়া জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. তহিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারক এজলাস ছাড়েন।
এদিন আদালতে তোলা হলে জিয়াউল আহসানের ব্যাপারে বিচারক সাইফুর রহমান জিজ্ঞাসা করেন, উনি কি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন, মূলত অবসরপ্রাপ্ত।
এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, ওনার নামের পাশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেখা আছে, এটা ঠিক করে দেবেন। তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবী বলেন, উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূলহোতা তিনি। বিগত সরকারের গুম-খুনের কারিগর।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব কই পান। তখন বিচারক বলেন, এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা চুপ করেন।
এরপর নিউমার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। পরে বিএনপিপন্থি ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জিয়াউল আহসান বলেন, আয়নাঘরের মূলহোতা আমি? এসব কীভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূলহোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ। পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।