নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৪ অক্টোবর বা যোগদানের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
সিভিল সার্ভিল (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের শেখ আব্দুর রশীদ মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। তিনি টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অনুষদ সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসাবেও নিয়োজিত ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি অবসরে যান। বর্তমান সরকার দায়িত্ব ভার গ্রহণের পরপরই তাকে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
ড. শেখ আব্দুর রশীদ ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ হতে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
শেখ আব্দুর রশীদ পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদেশে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে সরকারি কাজে সফর করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার সহধর্মিণী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর নিয়েছেন। তাদের সন্তানরা দেশে ও বিদেশে অধ্যয়ন করছে।