Logo
Logo
×

শেষ পাতা

হাত পা মুখ বেঁধে মারধর

কুষ্টিয়ায় ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্র হত্যা

Icon

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুষ্টিয়ায় ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্র হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় চার তলার ছাদ থেকে ফেলে এক কলেজছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ওই ছাত্রকে রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কোর্টপাড়ার একটি বাড়ির ছাদে। নিহত কলেজছাত্রের নাম রুবেল হোসেন (২২)। তিনি কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। রুবেল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ষষ্ঠ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কোর্টপাড়া রোডের ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনরা জানান, রুবেলকে গামছা ও দড়ি দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, তা জানা নেই। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজনরা।

রুবেলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মেসের সদস্য আনিস বলেন, তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষে আমরা ৯ জন থাকতাম। রুবেলের কক্ষে তিনজন থাকত। আমি অন্য কক্ষে থাকি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আনিস বলেন, এ ঘটনা কীভাবে, কারা ঘটিয়েছে সেটা জানি না।

স্থানীয়দের ধারণা, মারধর করে রুবেলকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার দুই হাত, দুই পা সাদা রশি ও মুখ লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।

কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, ভবনের তৃতীয় তলায় রুবেলের কক্ষসংলগ্ন বারান্দায় পুলিশ একই রঙের রশি টানানো দেখেছে। তার ধারণা, এটি হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে বের করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুমমেট হৃদয় ও রাইসুলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম