যুগান্তরকে জোনায়েদ সাকী
সংস্কার সুনির্দিষ্ট হলে নির্বাচনের তারিখও চূড়ান্ত করা যাবে
বর্তমান সরকার গণঅভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে
শেখ মামুনুর রশীদ
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জোনায়েদ সাকী
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেছেন, আমরা এখন ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের দ্বিতীয় পর্বে আছি। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বদলের একটি নতুন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কিংবা বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জীবনের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল যে কোনো মূল্যে ঘরে তুলতে হবে। এজন্য আমাদেরকে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। একইসঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্যে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আইন এবং সংবিধানের আমূল সংস্কার, দেশের শাসনব্যবস্থার নয়া রূপান্তর ও নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের-সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ কতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কারের কাজগুলো সুনির্দিষ্ট হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখও চূড়ান্ত করা যাবে।
সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জোনায়েদ সাকী এ কথা বলেন। গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বগ্রহণ এবং তাদের কর্মকাণ্ড, সংস্কার ইস্যুসহ আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপের ঘোষণার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি। একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা থেকে মূল রাজনীতিতে পা ফেলা জোনায়েদ সাকী গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার বাইরে আওয়ামীবিরোধী জোট গণতন্ত্র মঞ্চেরও অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জোনায়েদ সাকী বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলন সফলতার মধ্য দিয়ে আমাদের বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থা আমূল বদলের স্বপ্নের দিকে নিয়ে গেছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষাও বহুগুণ বেড়ে গেছে। দেশের মানুষ এই অভ্যুত্থান ঘটাতে গিয়ে যে আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছে, যেভাবে জীবন দিয়েছে, জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এটা আমাদের কাছে প্রায় দ্বিতীয় স্বাধীনতার মতো। এই অর্জন আমাদের জন্য একটি নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার পত্তন বা প্রবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এটাকে বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভাবতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভাবতে হবে। দেশের সব জনগণকে ভাবতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, সেই ঐক্যকে রক্ষা করে দেশকে নয়া রূপান্তরের জায়গায় পৌঁছাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই যে মানুষের স্বপ্ন একটা আমূল রূপান্তরের জায়গায় পৌঁছেছে। এরমধ্য দিয়ে আমরা কিভাবে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নসহ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে পৌঁছাতে পারি-সেটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে আমরা মনে করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, পরাজিত ফ্যাসিবাদি শক্তি, তাদের দোসর এবং তাদের দেশি-বিদেশি বন্ধুরা এখনো এই অর্জনকে ব্যর্থ করে দিতে তৎপর।
জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে জোনায়েদ সাকী বলেন, জুলাই-আগস্টজুড়ে দেশে যা হয়েছে তা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার একটি গণঅভ্যুত্থান। এখানে ছাত্রদের নিঃসন্দেহে একটি অগ্রণী ভূমিকা ছিল। দেশের সব ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল, যারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছে, তাদের সবারই এই আন্দোলনে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ছিল, সমর্থনও ছিল।
তিনি বলেন, আমরা যদি দেখি এই আন্দোলন জুলাইয়ের আগে ছিল মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে। ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বদলে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে। রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ ১৫ বছর রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করেছে। আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বারবার বলেছি, বাংলাদেশে বিদ্যমান যে ব্যবস্থা আছে, তা মূলত ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কিংবা বন্দোবস্ত। এটা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার বদলে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন করেছে, বিভক্ত করেছে। শুধু তাই নয়, পুরো রাষ্ট্রকে জনগণের বিপক্ষে-বিরুদ্ধে পরিচালিত করা হয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট বন্দোবস্ত বদলাতে হবে এবং আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যেতে হবে। যেটাতে গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত থাকবে। যার ভিত্তি হবে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান। আমাদের সব প্রতিষ্ঠান এবং আইন সংস্কার করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রের একটি গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে জোনায়েদ সাকী বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণঅভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এদেশের ছাত্র-তরুণ-যুবক-শ্রমিক জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাদেরকে জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সফল হতে হবে। এখানে ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের আশু কিছু কাজ আছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশের স্থিতিশীলতা আনা, শহিদদের জাতীয় মর্যাদা দেওয়া। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং আহত, নিহত সবার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া। অর্থনৈতিক যে চ্যালেঞ্জ সামনে আছে, এটাকেও সামাল দিতে হবে। এছাড়াও গত ১৫ বছরে যে নজিরবিহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, খুন-গুম হয়েছে, জুলাই আগস্টে যে ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে-তার বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো মূল্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায় বিচারই হবে নতুন বাংলাদেশের যাত্রার মূল ভিত্তি। আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে, তারা কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সেখানে একটা ধীরগতি আছে। এই ধীরগতি দেখে মানুষ আশাহত হচ্ছে। বলা যেতে পারে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য তারা (বর্তমান সরকার) এখনো তেমন কোনো কাজ করতে পারেনি বা সক্ষম হয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন এবং জনপ্রশাসনের কর্মতৎপরতা স্বাভাবিক হয়নি। এই দুটি ক্ষেত্রেই পুনর্গঠন বাকি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। জান-মালের ক্ষতি হচ্ছে। মসজিদ-মন্দির-মাজারে হামলা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের দিঘিনালায় স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়েছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অথচ ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান কাজ ও দায়িত্ব। এসব কারণে মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে বসবাস করছে। এজন্য পুলিশ প্রশাসন এবং জনপ্রশাসন পুনর্গঠন করে তাদেরকে এ্যাফিক্টিভ করা প্রধান কাজ হবে তাদের। পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, সংবিধান সংস্কার, গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচন আয়োজন এবং এই প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, তা শুরু করা তাদের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
জোনায়েদ সাকী বলেন, সরকার সংস্কারের জন্য কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। তারা তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দিয়েছি, আপনারা (সরকার) একটা টাস্কফোর্স গঠন করেন। কোন কোন বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন তার একটা গাইডলাইন তৈরি করেন। আমরা মনে করি, সংস্কারের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগরায়নসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে কমিশন গঠন করা দরকার। একইসঙ্গে এই কমিশনগুলোর উচিত অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবগুলো তৈরি করা। যদিও এ বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। অথচ এটা খুবই জরুরি। সরকারের সংস্কার প্রস্তাবগুলো কিভাবে বাস্তবায়িত হবে। বর্তমান সরকার কতটুকু বাস্তবায়ন করবে। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার কি করবে-এ বিষয়গুলোও নির্দিষ্ট করতে হবে।
তিনি বলেন, তারা (সংস্কার কমিটির প্রধান) কিভাবে সংস্কার প্রস্তাবটা তৈরি করবেন, এটা পরিষ্কার না। কোনো নীতিমালা পাইনি। একই সঙ্গে পুরো রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কিভাবে এগিয়ে নেবেন, তাও পরিষ্কার না। অন্তর্বর্তী সরকারের শক্তির মূল ভিত্তি শিক্ষার্থী, ছাত্র-শ্রমিক-জনতাসহ রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অংশীজন। যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি-তাদের সমর্থনের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার টিকে আছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও কিভাবে নিবিড়ভাবে রাখা যায়, আলোচনার জায়গা খোলা রাখা যায়-এর কাঠামোগত দিকও বর্তমান সরকারকে ঠিক করতে হবে। কিভাবে সরকার, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল এবং অংশীজনের ঐক্য জোরদার করা যায় এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করা যায়, সে উদ্যোগ নিতে হবে। একইভাবে আমরা মনে করি, সংস্কারের কাজগুলো সুনির্দিষ্ট হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখও চূড়ান্ত করা যাবে। যদিও এরই মধ্যে সংস্কার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান তার মতামত দিয়েছেন। আরও অনেকে মতামত দিচ্ছেন। আমাদের প্রস্তাবও থাকতে পারে। তবে এককভাবে কারো মতামতই চূড়ান্ত না। এজন্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে।
সংবিধান সংস্কার, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ অন্যান্য কালাকানুন বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন সম্পর্কে জোনায়েদ সাকী বলেন, বিদ্যমান সংবিধান স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সংবিধান। অনেকবার এই সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। একহাতে জনগণের ক্ষমতার কথা বলে আরেক হাতে সেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া পূর্ণ ক্ষমতা এই সংবিধানে আছে। তাই এটাকে পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। আজকে যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তার হাতেই সব ক্ষমতা। তিনি জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকেন। এর মূলে বর্তমান সংবিধান। এই সংবিধান ১৯৭১ সালের মূল ঘোষণাকে ধারণ করে নাই। ১০ এপ্রিল যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা ধারণ করে নাই। যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। তা ধারণ করে নাই। অথচ ৭১ সালের ঐক্য ও আকাঙ্ক্ষা আজো আমাদের সমাজে বহমান আছে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশই ৭১ সালের মূল চাওয়া ছিল। যার ফল জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থান। এই সংবিধান বাতিলের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সব কালো আইনও বাতিল করতে হবে। এজন্যই আমরা সংবিধানের পাশাপাশি আইনের সংস্কারের কথাও বারবার বলছি।
তিনি বলেন, একটি কথা পরিষ্কার, আর তা হচ্ছে-নাগরিকের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। এরজন্য এমন একটি কাঠামো দরকার যেখানে জনগণের অধিকার এবং ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। জবাবদিহিতা থাকবে। রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরি করতে হবে। যেখানে নতুন বন্দোবস্ত থাকবে। এটা কিভাবে হবে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে জোনায়েদ সাকী বলেন, এই ব্যবস্থা ছিল বিদ্যমান কাঠামোর ভেতরে। এটি একটি সাময়িক সমাধান মাত্র। আমরা দেখেছি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও দখল করার চেষ্টা হয়েছে। আমরা মনে করি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ থাকবে। উচ্চকক্ষ এবং নিুকক্ষ। এখানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এরাই ঠিক করবে নির্বাচন ব্যবস্থা দলীয় নাকি অন্তর্বর্তীকালীন হবে। তবে আমরা মনে করি, তিন থেকে পাঁচটি নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোর মধ্যে হলে এর সুফল মিলবে।