Logo
Logo
×

শেষ পাতা

শামীম হত্যা নিয়ে শিক্ষক নেটওয়ার্ক

বিচক্ষণতা দেখাতে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিচক্ষণতা দেখাতে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে

বিচক্ষণতা দেখাতে জাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৮ সেপ্টেম্বর গণপিটুনির শিকার হয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু ও পরবর্তী ঘটনাবলি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাবি শিক্ষক নেটওয়ার্ক। রোববার কলা ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন।

লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত বিচক্ষণতা ও সংবেদনশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৭টি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরছি। এর মধ্যে রয়েছে-হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া আবু সাঈদ ভূঁইয়া আসামি তালিকায় নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকেও তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় তার সনদ বাতিল বা স্থগিত করতে পারত। তদন্তের শর্তাবলিতে দুটি প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে, নির্দেশদাতা এবং আঘাতকারী খুঁজে বের করা, কারও দায়িত্বে অবহেলাজনিত কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিনা সেটা অনুসন্ধানের কোনো অপশন রাখা হয়নি। কিন্তু ঘটনা ঘটছে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রক্টর এবং নিরাপত্তা শাখার অফিসে, যেখানে একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগে পাঠদান, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতিসমেত সংস্কারের যে দাবিগুলো শিক্ষার্থীদের তরফে উত্থাপিত হয়েছে তার মধ্য থেকে যৌক্তিক দাবিগুলো কোন প্রক্রিয়ার পূরণ করা যাবে সেই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকা দরকার। না হলে চলমান শিক্ষা কার্যক্রমে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে; শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিপক্ষতা তৈরি হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষাপর্ষদে ও সিন্ডিকেটে আলোচনা করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যে মামলাটা করা হলো সেটার ভাষিক দুর্বলতা ছাড়াও, সেখানে একজন শিক্ষার্থীকে ভুলবশত আসামি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, যা ছিল গাফিলতির শামিল। তার পরদিনই আসামিদের তালিকাক্রম বদলানো হয়, যা আমাদের কাছে দুরভিসন্ধিমূলক বলেই মনে হয়েছে। পরে তদন্ত কমিটিতে প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অথচ বাস্তবে প্রক্টর অফিস সংলগ্ন নিরাপত্তা শাখাতেই নিহত ব্যক্তি উপর্যুপরি আঘাতের সম্মুখীন হন। এত কিছুর পর পত্রিকা বরাতে জানতে পারলাম, আমরা নাকি উপাচার্যের অফিসে আসামিদের তালিকা দিয়ে এসেছি, যা সর্বৈব মিথ্যা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় শামীম মোল্লার মৃত্যু হয়েছে কি না বিষয়টি আমরা জানি না। আমরা আশা করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মূল ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম