পাউবোর জমিখেকোর পসরা
উত্থাপিত ৯ অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কমিটি
যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর
যুগান্তর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫ হাজার একর অব্যবহৃত সরকারি জমি ইচ্ছেমতো বন্দোবস্তের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভূমি ও রাজস্ব সার্কেলের সাবেক পরিচালক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। পাউবোর মহাপরিচালক মো. আমিরুল হক ভুঁইয়া ২২ সেপ্টেম্বর সুনির্দিষ্ট ৯টি অভিযোগ সামনে এনে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দপ্তরাদেশ জারি করেন।
পাউবোর রিভার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছিতকে আহ্বায়ক, পাউবো বোর্ডের পরিচালক ওবায়দুল ইসলামকে সদস্য সচিব ও ডিজাইন সার্কেল ৮-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে এই কমিটির সদস্য করা হয়। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
দপ্তরাদেশে বলা হয়, রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বোর্ডের জমি লিজ বা বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বোর্ডের শত শত একর জমি নামে-বেনামে, মৌখিক দেওয়া, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও গোপালগঞ্জের নাম ব্যবহার করে কর্মস্থলে প্রভাব বিস্তার, বনানীতে ব্যয়বহুল দুটি ফ্ল্যাট, উত্তরা, মিরপুর ও গ্রামের বাড়ি জামালপুরে আয়বহির্ভূত ব্যক্তিগত সম্পদের মালিক হওয়া ছাড়াও গুরুতর ৯টি অভিযোগ তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর অধিগ্রহণের ৩৫ হাজার একর জমির পসরা, ‘পাউবোর জমিখেকো রেজাউল’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর তাকে পাউবোর ভূমি ও রাজস্ব সার্কেলের পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করে বোর্ডে সংযুক্ত করা হয়। এরপরই বিতর্কিত ও বহুল ক্ষমতাধর এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় পাউবো।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিরুল হক ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘তিন সদস্যবিশিষ্ট যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে তাতে আশা করছি উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে। কোনো ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক তদন্ত হবে প্রভাবমুক্ত। সবগুলো অভিযোগ চুলচেড়া বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে। সেভাবেই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’