
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-66f1e5e29a618.jpg)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ছেলে সায়ান এফ রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে আট ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা মো. মনজুর আলমের সই করা চিঠি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। রেকর্ডপত্র ও তথ্য-উপাত্তের সত্যায়িত কপি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদকে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমানের অনিয়ম-দুর্নীতি, শেয়ার জালিয়াতি, পাচার ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়েছে, সালমান এফ রহমান, ছেলে সায়ান এফ রহমান ও পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে লোপাট করে তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে সালমানচক্র। অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ বিপুল টাকা পাচার করে পরিবারের সদস্যদের নামে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগও আছে।
এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সোমবার সরকারি-বেসরকারি আটটি ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক। চিঠিতে সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের অন্যদের প্রদত্ত ব্যক্তিগত ঋণ, আবেদন-প্রস্তাব অনুমোদন ও ঋণ বিতরণ, সুকুক বন্ডের বিপরীতে প্রদত্ত ঋণসহ এ পর্যন্ত বরাদ্দকৃত সব ঋণসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে। ডাচ্-বাংলা, এক্সিম, জনতা, ব্র্যাক, আইএফআইসিসহ আট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
আবার সুবিধা চায় বেক্সিমকো গ্রুপ : সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ ব্যবসা সচল রাখতে আবার ব্যাংকিং সুবিধা চেয়েছে। তারা নতুন ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি আগের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করেছে। এ বিষয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বেক্সিমকো গ্রুপ বলেছে, রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা বিপাকে পড়েছে। কারণ, তাদের হাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ চলতি মূলধন নেই। ফলে ব্যবসা হারানোর উপক্রম হয়েছে। এ কারণে রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ঋণ সুবিধা ফের চালুর আবেদন করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের কাছে এই চিঠি দিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ।