ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা
মব জাস্টিস বন্ধসহ ৪ দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সারা দেশে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ ও মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহিদ মিনারসংলগ্ন সড়কে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে চার দফা দাবি জানান। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মব জাস্টিস বন্ধসহ দাবিগুলো হলো-৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ের হামলাকারীদের নামে মামলা করা।
তদন্ত কমিটি নিয়ে আপত্তি : এদিকে ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যার ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিতে থাকা দুই সদস্যকে নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক স্বাধীন সেন ও অধ্যাপক আনিছা পারভীন শামীম হত্যার ঘটনার বিচার চেয়েছেন। এছাড়া উপাচার্য বরাবর এ ঘটনার বিচারের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদিতার অভিযোগ এনে তার অবসানের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই দুই শিক্ষক বিচার প্রার্থী হয়ে তদন্ত কমিটিতে থাকলে তদন্ত কার্যক্রম প্রভাবিত হতে পারে। তাই এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করার দাবি জানান তারা।
তদন্ত কমিটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আনিছা পারভীন বলেন, তদন্ত চলাকালে তিনি কোনো কথা বলতে চান না।
এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ : বেলা সাড়ে ৩টায় ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে একদল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাদদেশে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপাচার্য বরাবর তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। তাদের দাবিগুলো হলো-দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের এবং ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে মামলার বাদী হিসাবে তৎপর হওয়া, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের অবহেলার অভিযোগ যথাযথ তদন্ত করে গাফিলতির প্রমাণ পেলে শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও যারা ইতোমধ্যে সনদ পেয়েছে, তাদের সনদ বাতিল করা। ১৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা গণপিটুনির শিকার হন। পরে শিক্ষার্থী ও প্রশাসন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।