চেন্নাইয়ে ‘অন্ধকার’ ঘনিয়ে এলো বাংলাদেশ শিবিরে
তৃতীয়দিন শেষে বাংলাদেশ ১৪৯ ও ১৫৮/৪। ভারত ৩৭৬ ও ২৮৭/৪ ডিক্লেয়ার
পারভেজ আলম চৌধুরী
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
ম্রিয়মাণ আলো যখন চিপকে আঁধারকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, তখনও দিনের খেলার ৯.৪ ওভার বাকি। রোহিত শর্মা আধো আলো অন্ধকারেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। প্রয়োজনে শুধু স্পিন বোলিং দিয়ে বাকিটা সময় কাটিয়ে দিতে রাজি ছিলেন তিনি। অধিনায়কের সমর্থনে মোহাম্মদ সিরাজ হাত ঘুরিয়ে স্পিন বোলিংয়ের অভিনয় করে দেখালেন। কিন্তু আম্পায়াররা শুনলে তো! অতএব, শনিবাসরীয় তৃতীয়দিনের খেলার আগাম সমাপ্তি। তার আগের ঘটনার সারাংশ-ঋষভ পন্ত ও শুবমান গিলের যমজ শতকের সহায়তায় ২৮৭/৪-এ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার। বাংলাদেশ পায় ৫১৫ রানের টার্গেট। লক্ষ্যটা যে অনতিক্রম্য, তা সহজেই অনুমেয়।
এর আগে চতুর্থ ইনিংসে ৫০০-র বেশি রানের লক্ষ্য পাওয়া আট টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির নেই কোনো দলের। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৫ তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতেছে ২০০৯ সালে। চেন্নাই টেস্টের দুদিন বাকি। আজ সকালে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নাজমুলরা টানা দুদিন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে পারেন।
চা-বিরতির আগে ১৩ ওভারে উইকেট অক্ষত রাখার পর ফিরে এসে ১৫৮/৪। অশ্বিনকে ছয় মেরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্টে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। ৫১ রান নিয়ে তিনি শুরু করবেন আজ চতুর্থদিন। নাজমুলরা কতক্ষণ টিকবেন, প্রশ্ন এই একটাই। জাকির হাসান (৩৩), সাদমান ইসলাম (৩৫), মুমিনুল হক (১৩) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) বাইশ গজ ছেড়ে ইতোমধ্যে সাজঘরে। জাকির ও সাদমান উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান যোগ করেন। ভারতের মাটিতে টেস্টে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। চার উইকেটের মধ্যে তিনটি নিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩৮-এও তুঙ্গস্পর্শী ফর্মের জানান দিচ্ছেন। মুশফিক ও মুমিনুল দুজনেরই উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। এ নিয়ে ১১ ইনিংসে (২০৭ বলে ১৪৩ রানে) পাঁচবার মুশফিক আউট হলেন অশ্বিনের বলে। ১৩ রানের পথে মুশফিক অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে এখন সবচেয়ে বেশি রান (১৫,২০৫) এখন মুশফিকের। দুইয়ে তামিম ইকবাল (১৫,১৯২) এবং তিনে সাকিব (১৪,৬৯৬)। মুমিনুল ছয় ইনিংসে (১৪৯ বলে ৬৪ রানে) চারবার নিজের উইকেট দিয়েছেন অশ্বিনকে। এই ভারতীয় স্পিনারের অপর শিকার সাদমান ইসলাম।
এরআগে নিজের ৩৪তম টেস্টে পন্তের ষষ্ঠ এবং ২৬তম টেস্টে গিলের পঞ্চম সেঞ্চুরির সহায়তায় ২৮৭/৪-এ ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। গিলের শতক বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ২০০তম তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। দুজনই চারটি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। এ নিয়ে এ বছর টেস্টে ভারতীয় ব্যাটাররা ৮৫টি ছক্কা হাঁকালেন। এক পঞ্জিকাবর্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড ভাঙতে হলে আরও পাঁচটি ছক্কা দরকার ভারতের।
(স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)