আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
৪৫০ মেগাওয়াটের সাউথ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
চালু হলো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
৪৫০ মেগাওয়াটের সাউথ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির বৃহৎ ইউনিট ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সাউথ ইাউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৮ সেপ্টম্বর রাত ১০টা ৪৩ মিনিটে উৎপাদন বন্ধ হযে যায়। ফলে জাতীয় গ্রিডে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। এতে আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় ব্যাপক লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়া হলেও এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই চালু করা সম্ভব হয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় ইউনিটটি। ফলে কয়লাভিত্তিক এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বর্তমানে (রোববার দুপুর ২টা) জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : অশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বলেন, ওই ইউনিটের গ্যাস টারবাইনের কম্প্রেসারে ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের নিজস্ব প্রকৌশলীরা শুক্রবার ইউনিটটি চালু করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ফলে বিদেশি এক্সপার্ট না আসা পর্যন্ত সাউথ ইাউনিটটি চালু করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাউথ ইউনিটি মেরামতের জন্য জার্মানির প্রকৌশলী ও এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা চলছে। তারা এলেই এর মেরামত কাজ শুরু হবে। মেরামত কাজ শেষ করে সাউথ ইউনিটটি চালু করতে প্রায় এক থেকে দেড় মাস লাগবে।
দিনাজপুর ও পার্বতীপুর : প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ থাকার পর ৯ আগস্ট তৃতীয় ইউনিটের ইলেকট্রো হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্প (টারবাইন জেনারেল) নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। চুক্তিবদ্ধ চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনালে অয়েল পাম্পটি সরবরাহের জন্য দুই সপ্তাহ সময় নেয়। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত রেখে শনিবার বিকালের মধ্যেই অয়েল পাম্পটি চীন থেকে বাংলাদেশে আনতে সক্ষম হন। সেটি শনিবার রাত ৩টায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এনে অয়েল পাম্পটি স্থাপন করার পর রোববার দুপুর ২টায় তৃতীয় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়।
প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক আরও বলেন, রোববার দুপুর ২টা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি চালু করা হয়। ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৬৫ মেগাওয়াট। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে দুটি ইউনিট থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ দুটি ইউনিট দিয়ে রোববার দুপুর ২টা থেকে ২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে।