যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর
জমিখেকো রেজাউলকে প্রত্যাহার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভূমি ও রাজস্ব শাখার পরিচালক রেজাউল করিমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসানের নির্দেশে পাউবোর মহাপরিচালক আমিরুল হক ভুঁইয়া তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করার আদেশ দেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাকে সংযুক্ত রাখার আদেশ জারি করেছে পাউবো।
এদিকে পাউবোর পরিচালক (জনকল্যাণ) আব্দুর রশীদকে প্রেষণে ভূমি ও রাজস্ব শাখায় বদলি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ‘অধিগ্রহণের ৩৫ হাজার একর জমির পসরা, পাউবোর জমিখেকো রেজাউল করিম’ শিরোনামে যুগান্তরে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে একদিনের মাথায় বিতর্কিত এই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গ্রহণযোগ্য সৎ কর্মকর্তার নেতৃত্বে আলোচ্য বিষয়ে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অভিযোগের আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করা হবে। কোনো ধরনের শৈথিল্যতা গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রয়োজনে অধিগ্রহণকৃত জমি কোথায় কিভাবে লিজ দেওয়া হয়েছে এবং কারা ভোগদখল করে রেখেছে তার চিত্র তুলে আনতে গণশুনানি করা হবে।’
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে পাউবোর অব্যবহৃত বহু জমি দখলের পাঁয়তারা করা হয়েছিল। সচিব হিসাবে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর থেকে পাউবোর অব্যবহৃত জমি লিজ দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। কারণ তিনি জানতে পারেন যেসব জমি লিজ দেওয়া হয় সেই জমি আর ফেরত পাওয়া যায় না। তাই লিজ প্রথা বন্ধ হওয়ার সুযোগে একটি চক্র অবৈধভাবে ভোগ-দখলের পাঁয়তারা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাই প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে তদন্ত কমিটিকে, জানান সচিব।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আমিরুল হক ভুঁইয়া বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।জমি বাণিজ্যের বিষয়ে বিন্দুমাত্র অভিযোগ থাকলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একটি সুশৃঙ্খল ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ব্যক্তির দায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বোর্ডের অবস্থান পরিষ্কার। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তার জবাব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই দিতে হবে। এখানে কোনো ধরনের সহমর্মিতা দেখানোর সুযোগ নেই।