চট্টগ্রামে ধর্ম উপদেষ্টা
একটি বিশেষ মহল সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে চাঙা করছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে যান ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, যারা উপাসনালয়ে হামলা করে বা আমাদের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ভাইদের ঘর আক্রান্ত করে, আমরা এদেরকে ক্রিমিন্যাল (অপরাধী) মনে করি। তাদের দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করতে একটি বিশেষ মহল সাম্প্রদায়িক বিষয়কে চাঙা করছে। সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অপপ্রচার রোধে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন। আন্দোলনে আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে যারা চিকিৎসাধীন তাদের খোঁজ খবর নেন। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমানরা আমরা একই আইনের অধীনে পরিচালিত হই। আমার যে অধিকার আছে, একজন হিন্দু, বৌদ্ধ ভাইয়েরও সেই অধিকার আছে। আমরা অধিকারটা এক্সারসাইজ (ভোগ) করতে চাই। আমরা কোনোদিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়, এমন সুযোগ কাউকে দেব না। মন্ত্রণালয় আপনাদের সঙ্গে আছে। আজকেও সার্কিট হাউজে হিন্দু ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিশ্চিত করেছি, কোনো ধরনের ডিসক্রিমিনেশন (বৈষম্য) হবে না। নাগরিক অধিকার প্রত্যেকে সমানভাবে পাবেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে আহতদের মধ্যে বর্তমানে তিন-চারজন চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। তাদের চিকিৎসার ভার সরকার নিয়েছে। প্রয়োজনে তাদের বিদেশেও পাঠানো হবে। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আহতদের নগদ সহায়তা দিচ্ছে। সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তারা ইতোমধ্যে দিয়েছেন। এখানে আজকেও যে ৩০ জনের মতো আছেন, আমরা আজকেই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা করব। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা দেব। সরকারের পক্ষ থেকে আহত-নিহতের সংখ্যা নথিভুক্ত করতে একটি ফাউন্ডেশন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে থাকা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আহতদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তাদের জন্য আগামী দিনের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের স্বাবলম্বী করতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কাজ করবে।
এ সময় চমেকের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা চমেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।