Logo
Logo
×

শেষ পাতা

দ্য স্ট্যান্ডার্ডে রূপা হকের নিবন্ধ

হাসিনাকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হাসিনাকে ব্রিটেনে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সংসদ-সদস্য রূপা হক।

শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে এক নিবন্ধে তিনি এমন মন্তব্য করলেন। ‘রূপা হক এমপি : মাই গভর্নমেন্ট মাস্ট নট গিভ দ্য ডেসপটিক শেখ হাসিনা রিফিউজ ইন দ্য ইউকে’ শিরোনামে লেবার পার্টির সংসদ-সদস্য রূপা হকের নিবন্ধটি বৃহস্পতিবার দ্য স্ট্যাডার্ড প্রকাশ করেছে।

রূপা হক নিবন্ধে লিখেছেন, বাংলাদেশ কতটা ‘বিশৃঙ্খল’ ছিল তা নিয়ে গেয়েছিলেন জর্জ হ্যারিসন। গত সপ্তাহে তিনি আবার সঠিক প্রমাণিত হলেন। সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো ঘটনার প্রতিফলন দেখা গেল। জাতির পিতার ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হলো, যা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট (যুক্তরাজ্যের একটি পৌরসভা) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।

ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রূপা হক লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনা দেশের আয়ুষ্কালের বড় অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার বাবার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করেছেন)। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, শেখ হাসিনা শুধু শাড়ি পরা একজন সপ্ততিপর বৃদ্ধাই নন, ‘বর্বর’ শাসকও বটে। সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে তিনি ভারতে নির্বাসিত হন। ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা, সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। সেই থেকে তারা ভারতেই আছেন। ভারত থেকে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন-এমন খবর দিতে থাকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলেও খবর আসে। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ তথ্য দেননি।

রূপা হক লিখেছেন, একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি হিসাবে সারা বিশ্বের বাংলাদেশ ইস্যুর সব খবরই আমার কাছে আসে। এখন আমাকে অসংখ্য মেইলে ‘এই কসাইকে নিষিদ্ধ’ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে লন্ডন হতে পারে তার পরবর্তী গন্তব্য। এ অবস্থায় আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তার ব্যাপক অজনপ্রিয় শাসনামল ও অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার নিরিখে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া সমীচীন হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। অবশেষে রূপা হক লিখেছেন, আমার বাংলাদেশি ভাই-বোনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। সরকার নিয়ে কণ্ঠ তুললেই নিপীড়নের শিকার হওয়ার ভয়ের সংস্কৃতি আর নেই। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আশা করি সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। তবে পতিত শিবির বলছে, তারা স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম