Logo
Logo
×

শেষ পাতা

গুলি না করার রিট খারিজ

শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি নয়, দাঙ্গা হলে করা যাবে: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি নয়, দাঙ্গা হলে করা যাবে: হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, কেউ আইন লঙ্ঘন করলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সর্বশেষ প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করতে পারে। যদি আইনের লঙ্ঘন না হয় বা কোনো দাঙ্গা না বাধলে, প্রাণঘাতী গুলি (লাইভ বুলেট) ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনের মৌলিক দিক ও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পুলিশের কাজ করা অপরিহার্য। আন্দোলনে গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে রোববার এই পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ।

হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেন, মানুষের জীবন সবচেয়ে দামি সম্পদ। মানুষের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যেখানে কঠিনভাবে প্রয়োজন কেবল সেখানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ফোর্স ব্যবহার করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে মানুষের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা করতে হবে এবং সবার মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে।

হাইকোর্ট আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার বৈষম্য করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনের বাধ্যবাধকতা মানতে হবে এবং ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বেআইনিতে (সহিংস, দাঙ্গা) পরিণত হলে পুলিশকে সংবিধান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭-১৩২, পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) এর ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৫৭ এবং দণ্ডবিধির ৯৬-১০৬ পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে। উচ্চ আদালত বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটা প্রয়োজনীয় যে, পুলিশ আইনের চারটি কর্নার (সংবিধান, পিআরবি, সিআরপিসি ও দণ্ডবিধি) অনুসারে দায়িত্ব পালন করবে।

রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালাতে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কথিত আটক’ ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রিটের ওপর গত ২৯ ও ৩০ জুলাই শুনানি হয়। ৩১ জুলাই রিটটি আদেশের জন্য বেঞ্চটির কার্যতালিকায় ওঠে। তবে বেঞ্চের একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় সেদিন দ্বৈত বেঞ্চ বসেননি। আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, অসুস্থতার কারণে বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলন ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট ছুটি নেন। এ কারণে বুধ ও বৃহস্পতিবার দ্বৈত বেঞ্চ বসেননি। আগের ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে পর্যবেক্ষণসহ রিটটি খারিজ করে রোববার আদেশ দেওয়া হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম