সমমনাদের সঙ্গে বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠক
সরকারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের প্রস্তাব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জড়িতদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ ও তাদের বিচার করতে গণ-আদালত গঠনের প্রস্তাব করেছেন যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমমনা দল ও জোটের নেতারা।
পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারতের কংগ্রেসের মতো রোডমার্চ-পদযাত্রা ও সমাবেশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসাবে শনিবার গণঅধিকার পরিষদের (নুর) সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ওই বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে ছিলেন সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আবজুর জাহের, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শেখ শওকত হোসেন, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও ইলিয়াস মিয়া।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ অবৈধ সরকার অপসারণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই চলমান আন্দোলনকে আরও গতি সৃষ্টি করার জন্য, সেই আন্দোলনকে সফল সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের পরিবর্তে দেশের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন। দ্রব্যমূল্য, দুর্নীতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারতের সঙ্গে সরকার যে চুক্তি করেছে, এর মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর যে আঘাত আনা হচ্ছে-এগুলোও আমাদের আন্দোলনে প্রতিফলিত হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পুলিশের করা মামলা প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, একটি ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার, তারা যে প্রতিবাদ করেছিল তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ আমরা জানাচ্ছি। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বৈঠকে সরকারের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, ভারতের সঙ্গে চুক্তি, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা যেহেতু দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি, এ দাবিগুলোয় জনগণকে সম্পৃক্ত করব। সে লক্ষ্যে আন্দোলনকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে শুক্রবার দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবারও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম এবং গণফোরাম (একাংশ) ও পিপলস পার্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে বিএনপি। আজ বৈঠক করবে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে।