পিস্তল উঁচিয়ে জমি দখলের চেষ্টা
রৌমারীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রতিবেশী পালটা অভিযোগ
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিবাদে পিস্তল উঁচিয়ে প্রতিবেশীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে খবরের শিরোনাম হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পালটাপালটি অভিযোগ, দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার। ২৩ জুন জমি দখলকে কেন্দ্র করে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেন জাকির হোসেন। সে সময় জাকির, তার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা ও ছেলে সাফায়াত আদি জাকির আনোয়ারকে শাসান ও মারধর করতে উদ্যত হন। পরে ভুক্তভোগী আনোয়ার বাদী হয়ে রৌমারী থানায় জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও ওই ভুক্তভোগী তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার বিকালে রৌমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান জিডিটি কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠান। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রৌমারী থানার ওসি বরাবর ফেরত পাঠান। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জামান বলেন, আদালতের নির্দেশনা ও অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। তা পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছেলে সাফায়াত আদি জাকিরের দাবি, আমার বাবার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। একটি কুচক্রীমহল সাবেক প্রতিমন্ত্রীর নামে ষড়যন্ত্র করছে।
সাফায়াত আরও বলেন, ওই জমি ওয়ারিশসূত্রে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করছি। এছাড়া প্রতিবেশীদের যাতায়াতের জন্য ৬ ফুট রাস্তা রেখেছি। ঘটনার দিন ওই জমির প্রাচীরের নিচের মাটি জোর করে সরানোর চেষ্টা হয় এবং প্রতিবেশীর যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হবে জানিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সাফায়াত বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন, স্বাধীন মিয়া, শিপন মিয়া, নাহিদ শিকদার, মনোয়ারা খাতুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।