সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের চাপ কম, রাস্তায় দীর্ঘ লাইন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
রাজধানীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ কম থাকায় ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছেন না চালকরা। সিএনজিচালকরা বলেছেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে ১২০ টাকার বেশি গ্যাস নেওয়া যাচ্ছে না। তাও আবার অর্ধেক বাতাস। যতবারই আসি পাম্পে, শুনি গ্যাসের চাপ কম। আগে যেখানে একবার গ্যাস নিলে সারা দিন চলে যেত, এখন সেখানে দিনে দু-তিন বার নিতে হয়। লাইনে দাঁড়াতে হয় ২-৩ ঘণ্টা। এখন তো গ্যাস নিতেই সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, যাত্রী আর কখন তুলব। এ অবস্থা চলতে থাকলে গাড়ির জমাও দিতে পারব না। না খেয়ে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার উত্তর বাড্ডায় অবস্থিত এসটি পাওয়ার লিমিটেড নামের রিফুয়েলিং স্টেশনে সরেজমিন দেখা যায়, গ্যাসের জন্য অপেক্ষমাণ গাড়ির দীর্ঘ লাইন। স্টেশন থেকে শাহাজাদপুরের সুবাস্ত টাওয়ার পর্যন্ত পৌঁছেছে। এতে কুড়িল বিশ্বরোড-রামপুরা রোডের শাহজাদপুর অংশের একাংশ দখল হয়ে আছে। ফলে রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও চাহিদামতো গ্যাস পাচ্ছেন না চালকরা। চাহিদামতো গ্যাস না পেয়ে ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চালকরা ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
ওই সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক মাস ধরে তারা গ্যাসের চাপ না থাকায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও যখন চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছেন না তখন চালকদের ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের চালক আনোয়ার মিয়া বলেন, রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, মাঝেমধ্যে ট্রাফিক পুলিশ এসে বলছে রাস্তা ছাড়তে। যানজট হচ্ছে। এই লাইনও সামনে এগোচ্ছে না। এসব সমস্যার কারণে গত ২ সপ্তাহ ধরে আমাদের গ্যাস নিতে আসতে হচ্ছে দিনে দু-তিনবার।
শুধু চালকরাই নয়, গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিড়ম্বনায় আছেন রিফুয়েলিং কর্তৃপক্ষও। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যাস না থাকার কারণে একদিকে যেমন তাদের বিক্রি কমেছে, তেমনি স্টেশনে প্রতিদিন লম্বা লাইন নিয়ন্ত্রণে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত জামান সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক মোন্তাকা জামান বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে সকাল ৭টা থেকে বেলা ৩-৪টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকে। বলতে গেলে সারা দিন গ্যাসের চাপ কম। দিনের বেলা হচ্ছে ব্যবসার আসল সময়। কেন গ্যাসের চাপ কম তা আমাদের কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ শাখার (দক্ষিণ) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শবিউল আওয়াল বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের গ্যাস সরবরাহ কম। এটা এখন জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যা কবে নাগাদ সমাধান হবে আমরা জানি না।