ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও মৃত ১৫টি হরিণ ও একটি শূকর উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে উদ্ধার করা মৃত প্রাণীর মধ্যে রয়েছে ৩৯টি হরিণ ও একটি শূকর। এ পর্যন্ত ৫৬টি মৃত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হলো। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রিমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও।
মিষ্টিপানির পুকুর প্লাবিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে। বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৫৪টি হরিণ এবং দুটি শূকর মিলিয়ে ৫৬টি মৃত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত হরিণগুলো কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেসে আসা ১৭টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়, যা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে উঠে যাওয়ায় হরিণগুলো সাঁতরে কূলে উঠতে না পেরে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বনের অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়াসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার বেশি হবে।