Logo
Logo
×

শেষ পাতা

যুদ্ধশিশুর প্রথম স্বীকৃতি পেলেন তাড়াশের মেরিনা

Icon

বেলকুচি-চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুদ্ধশিশুর প্রথম স্বীকৃতি পেলেন তাড়াশের মেরিনা

বাংলাদেশে এই প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মেরিনা খাতুন। বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত পচি বেগমের সন্তান মেরিনাকে বিষয়টি জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধশিশু মেরিনার কোথাও বাবার নাম লেখার প্রয়োজন হবে না। বাবার নাম ছাড়াই তিনি রাষ্ট্রের সব সুবিধা বা অধিকার ভোগ করতে পারবেন। ৫ মে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৮৯তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে মেরিনা যুদ্ধশিশু হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৮২তম সভায় মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বিষয়টি উত্থাপন করেন। ওই সভায় যুদ্ধশিশু হিসাবে মেরিনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় রাজাকাররা তাড়াশের উত্তর পাড়ার মৃত ফাজিল আকন্দের বিধবা স্ত্রী পচি বেওয়াকে বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে। তারপর সেখানে ওই নরপিশাচরা ওই বীরাঙ্গনার ওপর পাশবিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পাশবিক নির্যাতনের ফলে জন্ম হয় যুদ্ধশিশু মেরিনার। অবশ্য পচি বেওয়াকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

যার গেজেট নম্বর ২০৫। এ প্রসঙ্গে বুধবার দুপুরে দেশের প্রথম যুদ্ধশিশু হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া মেরিনা খাতুন বলেন, আমাকে স্বীকৃতি দেওয়ার চিঠি এখনো হাতে পাইনি। তবে স্বীকৃতি দেওয়ার খবরে আমি আনন্দিত। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যুদ্ধশিশুদের আর্থিক সম্মানী দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তাড়াশ উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আরশেদুল ইসলাম জানান, মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধশিশু হিসাবে জামুকার স্বীকৃতি দেওয়ার খবর জেনেছি। আশা করছি দ্রুতই চিঠি হাতে পাব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুইচিং মং মারমা জানান, মেরিনাকে দেশের যুদ্ধশিশু হিসাবে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে সংবাদটি গণমাধ্যমে জেনেছি। তবে এখনো অফিসিয়াল কোনো বার্তা পাইনি। ঊর্ধ্বতন মহল থেকে বার্তা পেলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানানো হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম