গোপালগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
বাউফলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগনেকে কুপিয়ে জখম
নড়াইলে আ.লীগ নেতাকে কিল-ঘুসি, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর * মঠবাড়িয়ায় গ্রেফতার ৫
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক প্রার্থীর ভাগ্নেকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ওসিকুর ভুইয়াকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। নড়াইলে নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে প্রতিপক্ষের কিল-ঘুসিতে আহত হয়েছেন একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বাউফল (পটুয়াখালী) : চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন কর্মী-সমর্থক বুধবার রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোসারেফ হোসেন খানের কর্মী শাহীন গাজীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট এবং শাহিনকে বেধড়ক মারধর করে তারা। শাহিন রাজনগর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এরপর বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় মোসারেফের কর্মীরা মোতালেবের ভাগ্নে ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান সুমনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে। তাকে বগা ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।
গোপালগঞ্জ : ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়া বাসস্ট্যান্ডে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ওসিকুর ভুইয়া হত্যার বিচার দাবি করেন। তারা সড়কের ওপর অবস্থান নেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে আন্দোলন কর্মসূচিতে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা কর্মীরা যোগ দেয়। এ সময় মহাসড়কে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে তিন কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছবেদ আলি ভূঁইয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই আমরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছি।
পরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ-সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের কথায় আন্দোলনকারীরা দুপুর ১টায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলি বলেন, নিহত ওসিকুর ভূঁইয়া ছিলেন আমার নির্বাচনি এজেন্ট। তাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ।
নড়াইল : সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহামুদের ঘোড়া প্রতীকের নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন শাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ খান মাহামুদ। তাকে কিল-ঘুসি মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১টায় গোপিকান্তপুর গ্রামে এ হামলা হয়। তাকে নড়াইল সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর পাঠানো হয়েছে। এদিকে লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নে বুধবার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম ফয়জুল হক রোমের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
মঠবাড়িয়া : দুই চেয়রম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-গ্রেফতারকৃতরা হলেন-নবী হোসেন, রুহান, রনি ফরাজী, আবুল কালাম ও বাদল তালুকদার। উপজেলার মিরুখালী বাজারে মঙ্গলবার রাতের ওই সংঘর্ষে ৫ জন আহত হন।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : মৌচাক এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়্যারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ (মোটরসাইকেল)। তিনি অভিযোগ করেন, কামাল উদ্দিন নিকদারের (আনারস প্রতীক) সমর্থক চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতু তার সমর্থকদের ওপর হামলা মারধর করছেন। এ নিয়ে তিনি কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছেন।