Logo
Logo
×

শেষ পাতা

লালপুর ও নাগরপুর

গুলি করে কুপিয়ে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গুলি করে কুপিয়ে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা

নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত মঞ্জু উপজেলার বাহাদিপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।

তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। মঞ্জু বর্তমান সংসদ-সদস্য আবুল কালাম আজাদ অনুসারী ছিলেন। এদিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিব আলম রাজিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভাদ্রা ইউনিয়নের পংভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজিব ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে। তিনি ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নাটোর ও লালপুর : পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মঞ্জু লালপুরের আজিমনগর রেলস্টেশন এলাকায় রবিউল ইসলামের দোকানের সামনে বসেছিলেন। হঠাৎ পাঁচ থেকে ছয় দুর্বৃত্ত তিনটি মোটরসাইকেলে এসে তার মাথা ও পেটে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জুর মৃত্যু হয়।

হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব এবং ওসি নাসিম আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ১ নম্বর ফটকের সামনে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেদিন গোপালপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহারুল ইসলামকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল।

সেই হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। মঞ্জুকে হত্যার পর তার ভাই মাসুদ রানা ১৬ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে ঘটনাটি ঘটতে পারে। মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় জড়িত রবিউল ইসলাম, লিটন, সুমন ও তমাল নামের চারজনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক না অন্য কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ তা তদন্ত করছে।

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) : থানার উপপরিদর্শক আব্দুল আলীম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার সঙ্গে মো. আজহারের বাড়ির সিমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বেলা ১১টার দিকে সীমানার একটি গাছ থেকে বেল পড়লে আজহারের বাড়ির লোকজন সেটি নিয়ে যায়। এ নিয়ে আজহার ও আলম মিয়ার পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পরিবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় আলম মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজিবকে কুপিয়ে হত্যা করে আজহারের পরিবারের লোকজন। আহত হন উভয়পক্ষের ৭ জন। তাদের দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম