উপজেলা নির্বাচন
এমপিদের প্রভাব বন্ধে সংসদকে চিঠি দিচ্ছে ইসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ-সদস্যদের (এমপি) প্রভাব বন্ধে জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছে।
মো. আলমগীর বলেন, সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই তা ওই চিঠিতে উল্লেখ থাকবে। ওই চিঠির বার্তা হচ্ছে- মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে প্রার্থী থাকতে পারে। কিন্তু তারা নির্বাচনে কোনো ধরনের অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ চিঠি পাঠানো হয়নি। তবে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাঠ পর্যায়ে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার বন্ধে ইসিকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানায় মাঠ প্রশাসন। এর পরই এ চিঠি দিতে যাচ্ছে কমিশন।
মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, নির্বাচনে অবৈধ চাপ দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান। কে কার আত্মীয় এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
তিনি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকতে আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রার্থী যেই হোক না কেন, সবার প্রতি সমান আচরণ করতে মাঠ কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ভোটের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো ও উৎসবমুখর। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনো হুমকি বা সমস্যা নেই। গোয়েন্দা রিপোর্টেও কোনো থ্রেড নেই বলেছে। যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠের প্রস্তুতি সবাই ভালো বলেছে। সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরই ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো চাপ পাচ্ছেন না। তাদের বলা হয়েছে, প্রেসার দিলে সে যেই হোক না কেন, তা আমলে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে কী, থাকবে না তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিনা।