দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে: মেজর (অব.) হাফিজ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের যুদ্ধকে রাজনৈতিক যুদ্ধ হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আমাদের আহত করে। একাত্তরের যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র অর্জনের। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, একটি মিছিল করার স্বাধীনতা নেই, এমনকি সংবাদপত্রের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রুহুল কবির রিজভীর সঞ্চালনায় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটি দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করে। মেজর (অব.) হাফিজ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন, তাদের কৃতিত্ব স্বীকার করতে চায় না বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বাঙালি শ্রমিক, সৈনিক, ছাত্র-জনতার মিলিত উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এ সাধারণ সত্যটি স্বীকার করতে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রাজি নয়। সশস্ত্র যুদ্ধ যারা করেছেন তাদের কোনো কৃতিত্ব দিতে চান না তারা। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির তরফ থেকে ও মুক্তিযোদ্ধাদের তরফ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাদের অবদান রয়েছে তাদের অবদানকে প্রাদ-প্রদীপের আলোয় আনার চেষ্টা করব। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধ জিয়াউর রহমানের দল। স্বাভাবিকভাবেই সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে এই মহান স্বাধীনতা দিবসকে (২৬ মার্চ) আমরা উদ্যাপন করতে চাই।
হাফিজ বলেন, আজকে একটি জিনিসে আমরা শঙ্কিত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। মিয়ানমারে এখন অভ্যন্তরীণ সংঘাত চলছে যাতে বাইরের শক্তিগুলো জড়িত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশকেও এক সময় হয়তো আন্তর্জাতিক চাপে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। তাই আমাদের যুবকদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসরাইল, রাশিয়া, কোরিয়ার মতো তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) তার স্বামীকে যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পাকিস্তানের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও উনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের অস্ত্র জমা দিতে বারণ করেন। উনি সৈনিকদের যুদ্ধে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট রুহুল ?কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অধ্যক্ষ সেলিম ?ভূঁইয়া, সাখাওয়াত হাসান জীবন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক খান প্রমুখ।