Logo
Logo
×

শেষ পাতা

স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আস্থা নেই বলে মানুষ ভারত-ব্যাংকক যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আস্থা নেই বলে মানুষ ভারত-ব্যাংকক যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আস্থা নেই বলেই আমাদের দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছে, ব্যাংকক যাচ্ছে। তাই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে গ্রাস রুট লেভেলে কাজ করতে হবে। যেটি আমি শুরু করেছি মাত্র। আমাকে আরও সুযোগ দিতে হবে। আমি চেষ্টা করছি। আমি পারব না শতভাগ, তবে আমি চেষ্টা করব। রাতারাতি কোনো কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি আদালতে রয়েছে তাই এ নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তাহলে আদালত অবমাননা হয়ে যাবে।

ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যে তদন্ত রিপোর্ট হয়েছে এবং হাইকোর্ট থেকে কী রায় দেয়, সেটা আমরা দেখি আগে। তারপর।

তদন্তে কী পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তে আমরা যা পেয়েছি তা গোপনীয়। হাইকোর্টে জমা হয়েছে। যেহেতু হাইকোর্টে প্রক্রিয়াধীন এই মুহূর্তে আমার পক্ষে বলা মুশকিল।

অনিবন্ধিত হাসপাতালের বিষয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী থাকবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ এবং লাইসেন্স ছাড়া যে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, আমি এ ব্যাপারে কথা বলেছি। হঠাৎ করে বন্ধ করলে তো হবে না। আমাকে পরীক্ষা করতে হবে। আমার কাছে তালিকা এসেছে, সেই তালিকা ধরে কাজ করব। কোনো হাসপাতাল অবৈধ কিংবা ইলিগ্যালভাবে কাজ করবে, সেটা অন্তত আমি হতে দেব না। এ ব্যাপারে আমার কঠোর নির্দেশ।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, যারা এ ধরনের ক্লিনিক চালাচ্ছেন তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করুন। না হলে আমরা কিন্তু তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব এবং তাদের একটা সময় দেব। হঠাৎ করে আমরা একটা ক্লিনিক বন্ধ করতে পারি না। একটা নিয়ম আছে, প্রসিডিউর আছে। আমি সেভাবে এগোবো।

আমরা দেখেছি স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ফেরত যায়। বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আপনার পরিকল্পনা কী?-এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট সচিব ও মহাপরিচালকদের সঙ্গে বসে একটা বার্ষিক পরিকল্পনা করব। আমার চিন্তা হচ্ছে যে প্রকল্প এবং যে কার্যক্রম নিলে জনসাধারণের উপকার হবে সে ধরনের প্রকল্প নেব। অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্প নেব না।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট (অমিক্রন ধরনের উপধরন জেএন.১) খুব দ্রুত ছড়ায়। তবে এ নিয়ে এত আশঙ্কার কিছু নেই। এতে প্রাণহানির শঙ্কা কম। এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আমাদের যে টিকা আছে, সেটা কার্যকরী এবং এটা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম