Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

ছুটির দিনে দর্শনার্থী বেশি ক্রেতা কম

Icon

এ হাই মিলন, রূপগঞ্জ

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ছুটির দিনে দর্শনার্থী বেশি ক্রেতা কম

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের ১ম সপ্তাহে বিক্রি নাই বললেই চলে। কারণ ক্রেতা কম। যারা আসছেন তাদের অধিকাংশই দর্শনার্থী। তবে শুক্রবার ছুটির দিন ক্রেতা-দর্শক সমাগম অন্যদিনের চেয়ে বেশি ছিল। তবে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

সরেজমিন দেখা যায়, এবার যাতায়াত ব্যবস্থাসহ মেলার অভ্যন্তরীণ সার্বিক নিরাপত্তা সন্তোষজনক থাকায় রাজধানী ছাড়াও অন্যান্য জেলার লোকজন আসা শুরু করেছেন। তবে এখনো স্টল নির্মাণের হাতুরিপেটার আওয়াজে বিব্রত তারা। ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা মেলামুখী হওয়ায় দুপুরের পর থেকে যানজট চরম আকার ধারণ করে মেলায় প্রবেশের আশপাশের রাস্তায়।

মেঘনা থেকে আসা নুরুল আমিন জানান, স্থায়ী প্যাভিলিয়ন আর মেলায় প্রবেশকালে শেখ হাসিনা সরণি সড়ক দেখে বিমোহিত হয়েছি। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন বাণিজ্যমেলার ভবন ও আশপাশ অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল। তবে পণ্যের দাম বেশি মনে হলো। বিদেশি পণ্যের দাম তো আকাশছোঁয়া।

এবার পাটপণ্য নিয়ে দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে পাট করপোরেশন। তাদের প্যাভিলিয়নে ২৮টি স্টলে ৫ শতাধিক পণ্য রয়েছে। কথা হয় বিক্রেতা নিলয়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার ২১ দিন পর মেলা শুরু হওয়ায় ক্রেতা কম। তাছাড়া অনেক স্টলের সাজসজ্জা এখনো হয়নি।

যমুনা প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তা রাকিব জানান, আজ ছুটির দিন হওয়ায় বেশ কিছু ফ্রিজ হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল বিক্রির হয়েছে। হোন্ডার বুকিং পেয়েছি। ক্রেতারা যমুনা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছেন।

সূত্র জানায়, মেলার প্রথম সপ্তাহে ৩০ ভাগ স্টল এখনো প্রস্তুত না হওয়ায় চাহিদামতো পণ্য পাচ্ছে না ক্রেতারা। ফলে এখন যারা আসছেন তারা ঘুরে খেয়েদেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। মেলায় রয়েছে শিশুদের জন্য বিনোদন পার্ক। সেখানে আছে বিভিন্ন রাইড। তবে তা নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

মেলার ব্যবসায়ীরা শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনকে বেছে নিচ্ছেন বিক্রির জন্য। এ হিসাবে পুরো মাসে মাত্র ৮ থেকে ১০ দিনের টার্গেট করে বিক্রি সারতে চান তারা। ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্বরত এএসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, এতদিন সড়কে চাপ ছিল না। শুক্রবার হওয়ায় দুপুরের পর থেকে মানুষজন মেলায় আসতে শুরু করে। তাই ঢাকা বাইপাস সড়কে যানজট হয়। যানজটমুক্ত রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন।

মেলায় দায়িত্বরত কর্মী আজমির হোসেন বলেন, সকালে খুব একটা লোক আসে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থী বাড়তে থাকে। আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ও রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এবার মেলায় যাতায়াতে চারদিক থেকে বিআরটিসি বাসসহ গণপরিবহণ রয়েছে। ফলে খুব সহজে মেলা ঘুরে যেতে পারেন যে কেউ। তাই গত বছরের চেয়ে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে। এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ১৮টি বিদেশি স্টল। এছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য স্টল সাজাচ্ছেন।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম