Logo
Logo
×

শেষ পাতা

রাস্তায় ব্র্যাকের শিক্ষার্থীরা

শরীফার গল্পে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন: শিক্ষামন্ত্রী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শরীফার গল্পে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন: শিক্ষামন্ত্রী

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই ইতিহাস ও সামিজক বিজ্ঞানের একটি অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে ওঠা বিতর্ক ও সমালোচনার বিষয়ে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মঙ্গলবার তিনি সচিবালয়ে বলেন, আলোচিত শরীফার গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এতে বিষয়টি উপস্থাপন করতে গিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা বিতর্ক থাকলে তা সংশোধন করা হবে। ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বেসরকারি ব্র্যাক বিশবিদ্যালয়কে ঘিরে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে ওই বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। একটি পক্ষ সব সময় ধর্মীয় ইস্যু তুলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে জেন্ডার নিয়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প রয়েছে। এই গল্প নিয়ে শুক্রবার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

সেখানে তিনি বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি এ পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর জের ধরে রোববার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ পরদিন সোমবার ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, আসিফ মাহতাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই।

এদিকে মঙ্গলবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালযয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিন বেলা ১১টায় মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে দেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার আদেশ বাতিলের দাবিসহ তুলে ধরা হয় বিভিন্ন দাবি। জানানো হয়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেমিস্টার বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করবেন তারা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দাবিগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, পাঠ্যক্রমে যদি দুর্বলতা থাকে তা পর্যালোচনা করা হবে। যৌক্তিক কোনো কারণ পাওয়া গেলে তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পরিবর্তন করা হবে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম