Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বেবিচক-পিটার হাসের বৈঠক হতে পারে আজ

বিমানের কাছে এয়ারক্রাফট বিক্রির প্রস্তাব বোয়িংয়ের

Icon

মুজিব মাসুদ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিমানের কাছে এয়ারক্রাফট বিক্রির প্রস্তাব বোয়িংয়ের

রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বাংলাদেশ বিমানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির ড্রিমলাইনারের নতুন ভার্সন ৭৮৭-১০ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বহুল আলোচিত বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় সহায়তা করতে চায় বলেও জানিয়েছেন। বর্তমানে বিমানের কাছে বোয়িংয়ের তৈরি ১৬টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।

গত ৫ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে পিটার হাসের সঙ্গে বোয়িং কোম্পানির একজন ভাইস প্রেডিডেন্ট ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের একজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। আজ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তার। জানা গেছে, এই বৈঠকে বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক রুট পরিচালনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেবে বোয়িং টিম। কীভাবে দ্রুত রুটটি চালু করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।

জানা গেছে, বিমানের বৈঠকে পিটার হাসের নেতৃত্বে থাকা বোয়িং টিম আরও বোয়িং কেনার প্রস্তাব দেন। বিশেষ করে ড্রিমলাইনারের নতুন মডেলের ৭৮৭-১০ এয়ারক্রাফটি বিক্রির প্রস্তাব দেন এবং উড়োজাহাজটির ডিসপ্লে দেখান। তারা বলেন, বর্তমানে বিমানের কাছে মোট ৮টি ড্রিমলাইনার আছে। নতুন মডেলের ড্রিমলাইনারটি বহরে যুক্ত হলে নতুন করে পাইলট নিয়োগ করা লাগবে না। পুরোনো পাইলটরাই এই উড়োজাহাজটি পরিচালনা করতে পারবে। এতে বিমানের অনেক খরচ বেচে যাবে। তবে এ প্রস্তাবের বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বোয়িং টিমকে কিছু জানানো হয়নি।

বিমানের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। পিটার হাসের বোয়িং বিক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবটি প্রথমে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। এরপর এর সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি মিললে প্রস্তাবটি বিমানের বোর্ডে উপস্থাপন করা হতে পারে।

বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবোলি গণমাধ্যমে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং কেনার প্রস্তাবকে ঢাকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের বিমানের যে উচ্চাভিলাষী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, তা বাস্তবায়নের জন্য বোয়িং-এর কাছে আছে সর্বোত্তম পণ্য সেরা মূল্যে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৯ এবং ৭৮৭-১০ উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব রয়েছে। সেটির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বিমানের বহরে থাকা বোয়িংয়ের বিক্রয়-পরবর্তী সেবা, যন্ত্রাংশ ও অন্য শর্তাবলির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে বোয়িং কোম্পানির ১৬টি উড়োজাহাজ রয়েছে বিমান বহরে। বোয়িং কোম্পানি তাদের নতুন মডেলের ডিমলাইনার ৭৮৭-৯ ও ৭৮৭-১০সহ তাদের নতুন প্রডাক্টগুলোর ডিসপ্লে দেখিয়েছে আমাদের কাছে। একই সঙ্গে তাদের ১৬টি এয়ারক্রাফটের মেইনটেন্যান্স ও স্পেয়ার পার্টস সংক্রান্ত আলোচনা করেছে। বিমান এমডি বলেন, বোয়িং টিম তাদের প্রস্তাব মৌখিকভাবে দিয়েছে। তাছাড়া এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম