Logo
Logo
×

শেষ পাতা

হলফনামা বিশ্লেষণ: বান্দরবান আসন

বীর বাহাদুরের আয় বেড়েছে পাঁচগুণ

Icon

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বীর বাহাদুরের আয় বেড়েছে পাঁচগুণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসনে টানা সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন বীর বাহাদুর উশৈসিং। গত ১০ বছরে তার বার্ষিক আয় প্রায় সাড়ে পাঁচগুণ বেড়েছে।

এছাড়া তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদও কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমানে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তার হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৪ সালে বীর বাহাদুরের বার্ষিক আয় ছিল ৪৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে এটি দাঁড়ায় এক কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৭ টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা। তার আয়ের সবচেয়ে বড় খাত হোটেল ব্যবসা।

সেখান থেকে তিনি দুই কোটি ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৩১ টাকা আয় দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় আয়ের খাত অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া দেখানো হয়েছে। ব্যবসা থেকে আয় ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১২ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন এফডিআর, সঞ্চয়ী জামানত ও বিনিয়োগ থেকে আয় দেখানো হয়েছে। বীর বাহাদুরের সহধর্মিণীর বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে দুইগুণ। তবে তার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে।

২০১৪ সালের হলফনামায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তার কোনো ঋণ নেওয়ার তথ্য নেই। তবে ২০১৮ সালের হলফনামায় ইসলামী ব্যাংক থেকে এক কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৮ টাকা সিসি লোন নেওয়ার তথ্য দেখা যায়। এবার ইসলামী ব্যাংকের বান্দরবান শাখা থেকে ৩০ লাখ ৮১ হাজার ৯৭০ টাকার সিসি লোন দেখানো হয়েছে।

২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রীর নামে থাকা স্বর্ণালংকারের দাম পাঁচ লাখ ও চার লাখ টাকা দেখানো হয়েছিল। এবারও একই দাম দেখানো হয়েছে। তার বার্ষিক আয় ২০১৪ সালে ছিল ৪৫ লাখ টাকা এবং ২০১৮ সালে ছিল এক কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৬২৭ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় তিন কোটি ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৪০৯ টাকা দেখানো হয়েছে। গত ১০ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচগুণ।

ছয়বারের সংসদ-সদস্য বীর বাহাদুরের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৪ সালে ছিল দুই কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ছিল ছয় কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার সম্পদ ১০ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। তার স্থাবর সম্পত্তি ২০১৪ সালে ছিল এক কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার এবং ২০১৮ সালে পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।

এবার ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। এবারের হলফনামায় বান্দরবান পৌরসভা এলাকায় তার ছয়তলার দুটি ভবনের দাম যথাক্রমে তিন কোটি ৫০ লাখ ও দুই কোটি ৫২ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। দুটি বাস, দুটি জিপ ও একটি কারসহ তিন কোটি আট লাখ ৪০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তি দেখানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম